বগুড়া সদর উপজেলার ফুলবাড়ী মধ্যপাড়ার যুবক নুর আমিন জিয়াম। তিনি শখ হিসেবে ফ্রিজিয়ান জাতের একটি ষাঁড় পালন করেন। সাদা কালো ষাঁড়টির নাম রাখা হয়েছে হিরো আলম। এদিকে ষাঁড়টি এলাকায় বেশ সাড়া ফেলেছে। দেখতে আসছেন বিভিন্ন এলাকা থেকে মানুষ। পেশায় ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী নুর আমিন ঈদুল আজহা উপলক্ষে ষাঁড়টি বিক্রি করবেন।
আশরাফুল হোসেন ওরফে হিরো আলম। যা নিয়ে আলোচনা করা যায়, কিন্তু এড়ানো যায় না। আলোচনা-সমালোচনার তোয়াক্কা না করে তিনি মনে মনে কাজ করছেন। এবার গরুর হাটেও সাড়া ফেলেছে তার নাম। বগুড়ার ফুলবাড়ী মধ্যপাড়া এলাকার জিয়াম নামের এক যুবকের রাখা একটি ষাঁড়ের (গরু) নাম রেখেছেন হিরো আলম। আর সেই ষাঁড়টি এখন আলোচনায়। এ প্রসঙ্গে হিরো আলম বলেন, ‘কেউ হিরো আলমকে ভালোবাসে বলে গরুর নাম রাখে, কেউ ভাস্কর্য বানায়, কেউ টি-শার্ট পরে। এটা আমার জন্য অন্যরকম ভালোবাসা। তিনি আরও বলেন, ‘যে গরুর নাম রেখেছে তার সঙ্গে কথা বলেছি। তিনি (গরু মালিক) আমাকে বললেন- ‘তুমি মানুষের পাশে থাকো, তোমার প্রতি ভালোবাসা থেকেই আমি গরুর নাম রেখেছি।’ অনেকেই আমার নাম ব্যবহার করেন। আমার কোনো আক্ষেপ নেই.
উল্লেখ্য, ৬ ফুট লম্বা, সাড়ে ৫ ফুট উচ্চতা ও ৯০০ কেজি ওজনের একটি ষাঁড়ের নাম হিরো আলম। জিয়াম কোরবানি উপলক্ষে কালো-সাদা ষাঁড়টি বিক্রি করবেন। ষাঁড়টির দাম ছয় লাখ টাকা হয়েছে বলে জানান তিনি। গরুটিকে এক নজর দেখার জন্য স্থানীয়রা ভিড় করছেন। কোনো হাটে ছেড়ে না দিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছবি ও বর্ণনা দিয়ে গরু বিক্রির চেষ্টা করছে জিয়াম। নুর আমিন হামদর্দ ইউনানী মেডিকেল কলেজে অধ্যয়নরত। এছাড়া বাবার ব্যবসা ও গরু পালনে সহযোগিতা করছেন।