বাংলাদেশের অবস্থা কতটা পাল্টেছে সেটা বিজ্ঞ জনেরা বেশ ভালো করেই জানেন। ধনীক শ্রেনীর মানুষেরা এখন এই দেশ থাকতে চাইছেন না। অনেকে রুচি বদলানোর জন্য বিদেশে নিজেদের স্থায়ী করতে চাইছেন। তাদের যারা দেশে যারা দেশে থাকছেন তারা অনেকে তাদের পরিবারের প্রয়াত সদস্যদের জন্য স্থায়ীভাবে কবরের জমি কিনছেন বা কিনেছেন। অনেকে এই দেশই জীবনের শেষ দিনগুলো পার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এবার এ বিষয় নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভিন্ন এক পোস্ট দিয়েছেন সমালোচক আব্দুন নুর তুষার। তার সেই পোস্টটি হুবুহু তুলে ধরা হলো।
ঢাকা শহরে অতি ধনী ব্যক্তিরা মৃ”ত্যুর পর স্থায়ী কবরের জমি কিনতে পারবেন। অন্যরা পারবেন না। এর ফলে যা ঘটবে সেটা হলো এই কবরগুলিতে দোয়া খায়ের করার জন্য বেতন দিয়ে লোক রাখতে হবে। কবরে থাকবেন কেবল ধনীরা। তাদের ছেলেমেয়েরা এই দেশে থাকবেন কমই।
সাধারণ মানুষ সেখানে যাবে না। অথচ আপনি জুরাইন বা আজিমপুর গেলে দেখবেন সেখানে অজানা মানুষ আপনার আত্মীয়র পাশের কবর জিয়ারত করেছে। দোয়া করেছে। এই দোয়া পাঠ সারাদিন চলতেই থাকে সেখানে। কারণ সেখানে সব শ্রেনীর মানুষ আছেন চিরনিদ্রায়।
এই দোয়ার ভাগ সকলেই পায়। মক্কা নগরীতে ও মদিনাতেও এমন বিভেদ নাই। সেখানে সকলে সমান সুযোগ পায় কবরের।
এই দেশে মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে বৈষম্য দুর করার কথা বলেছিলো। আজ জীবিতদের মধ্যে গুলশান ও যাত্রাবাড়ীর তফাত। মৃ”ত গরীবদেরতো জায়গাই থাকবে না শহরের ভেতরে।
এখন কবরের জমিতেও ধনী গরীবের সুস্পষ্ট তফাত করছে। সমতা সৃষ্টির কথা বলে দেশ স্বাধীন হয়েছিলো। কবরেও সমতা নাই। এখন কবরস্থানের পার্কিংয়ের জন্য জায়গা বেশি লাগবে। কারণ সহজেই বুঝতে পারছেন। রিকশা দিয়ে কবরস্থানে যাবার মানুষ থাকবে না।
এখন এই শহরে ভুট্টুর মতো জমিদাররা থাকবে। এ যেন দেশের ভেতরে আরেক দেশ। নতুন লারকানা।
প্রসংগত, বাংলাদেশের পরিবেশ পরিস্থিতি অনেকটাই পাল্টে গেছে, যেটা সামান্য নয় বেশ উল্লেখযোগ্যভাবেই। তবে যাদের সন্তানেরা বিদেশে অবস্থান করছেন এবং বাংলাদেশে যারা রয়েছেন, তাদের পরিস্থিতি অনেকটা আব্দুন নূর তুষার এর এই ধরনের লেখনীর মতোই হতে পারে। সেই সম্ভবনা দেখা দিয়েছে বর্তমান বাংলাদেশে।