আলোচিত পদ্মা বহুমুখি সেতু তৈরী করা নিয়ে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছিল। তবে কোন বাধা বিপত্তিকে পাত্তা না দিয়ে নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু বাস্তবায়ন হয়ে। সেতুর কাজ শেষ পর্যায়ে এ মাসেই জনচলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হবে। ২৫ শে জুন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধন করবেন। এবার পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান নিয়ে যা বললেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ।
পদ্মা সেতুর উদ্বোধনে ১০ লাখ লোকের সমাগম না ঘটিয়ে সেই খরচের টাকা দিয়ে ঈদে গরিবদের মুখে খাবার তুলে দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।
তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন, আপনি পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ শেষ করেছেন। মেগা প্রকল্প করেছেন। মানুষের খাবার নেই, কিন্তু একটা ভালো কাজই করলেন। যাতায়াত সুবিধা করে দিলেন। কিন্তু সেতু উদ্বোধনে ১০ লাখ মানুষের সমাগম বন্ধ করে দেন। আএজন্য যে খরচ হবে সেটা আগামী ঈদে ১০ লাখ দরিদ্র পরিবারের খাবারের জন্য দিন। তাহলে সবাই আপনার জন্য দোয়া করবেন। আমরা দেখেছি আপনারা পদ্মা সেতু করেছেন।
মঙ্গলবার (৬ জুন) জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে সোনার বাংলা পার্টি আয়োজিত এক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এ মন্তব্য করেন।
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিএম কন্টেইনার ডিপোতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, সীতাকুণ্ডে যা হয়েছে তা নতুন কিছু নয়। ২০১০ সালে রাজধানীর নিমতলী মহল্লায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা আপনি নিশ্চয়ই ভুলে যাননি। সেখানে প্রায় ১৩৪ জন নি/হত হয়েছিল। এটাই শেষ ঘটনা নয়।এরপর প্রায় প্রতি বছরই হয়েছে। ২০২১ সালে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে হাসেম ফুড অ্যান্ড বেভারেজ কারখানায় অগ্নিকাণ্ড তারই ধারাবাহিকতা।
অনিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর নিবন্ধনের জন্য নির্বাচন কমিশনকে ঘেরাও করার পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, আমাদের যাদের নিবন্ধন নেই, তাদের সবার সম্মিলিতভাবে নির্বাচন কমিশন ঘেরাও করা উচিত।নিবন্ধনের জন্য কিছু শর্ত থাকতে পারে, কিন্তু ২২ জেলায় অফিস থাকা বিধান ‘পাগলের কথা’। এ ক্ষেত্রে ছয় জেলায় অফিস থাকার বাধ্যবাধকতা হতে পারে।
ডা.জাফরুল্লাহ আরও বলেন, দেশে শক্তিশালী আন্দোলন গড়ে তুলতে খালেদা জিয়ার মুক্তি প্রয়োজন। তার জামিন না হলে আন্দোলন গড়ে উঠবে না। দশ-বিশ হাজার লোক এনে হাইকোর্ট ঘেরাও দিতে হবে। যদি আমাকে এক সপ্তাহ সেখানে বসতে হয়, আমি থাকব। প্রাণনাশকারী আসামিরা জামিন পায়, খালেদা জিয়া কেন পাবেন না। আন্দোলনের স্বার্থে যে কোনো মূল্যে খালেদা জিয়াকে বের করে আনতে হবে।
সোনার বাংলা পার্টির সভাপতি শেখ আব্দুন নূরের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ হারুন অর রশীদ সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন- নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব এম গোলাম মোস্তফা ভূঁইয়া, রাজ্য সংস্কার আন্দোলনের সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট হাসনাত কাইয়ুম, ডিএল সাধারণ সম্পাদক সাইফুদ্দিন আহমেদ মনি, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান হামদুল্লাহ আল মেহেদী, এনডিপি মহাসচিব মোহাম্মদ মঞ্জুর হোসেন ঈসা এবং তৃণমূল জনতা পার্টির চেয়ারম্যান ড. নাজিম উদ্দিন প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, পদ্মা সেতুর উদ্বোধনে যে আয়োজন করা হচ্ছে এটি বন্ধ করে অনুষ্ঠানের খরচ বাবদ টাকা দিয়ে দরিদ্র মানুষের খাবারের ব্যবস্থার পরামর্শ দেন ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। তিনি আরও বলেন, সীতাকুণ্ড ডিপোতে যে দুর্ঘটনা ঘটছে এটি নতুন এমন ঘটনা ঘটেই চলছে কোন ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না।