মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর হলেন বাংলাদেশের অন্যতম রাজন ঐতিক দল বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব। এই সম্মানীয় পদে অধিষ্ঠিত হবার পর থেকে তিনি সততা ও নিষ্ঠার সহিত তার দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। তার সততার জন্য দীর্ঘদিন ধরে তিনি এই পদে বহাল রয়েছেন। সম্প্রতি মির্জা ফখরুল তার এক বক্তব্যে বলেছেন গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের বাড়িতে হামলার জন্য তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে। সোমবার (২৯ আগস্ট) রাতে ঢাকার কেরানীগঞ্জ (দক্ষিণ) মির্জাপুর গ্রামের নিজ বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা ও উপজেলা চেয়ারম্যান শাহীনের নেতৃত্বে হামলা চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ করেন গয়েশ্বর। এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার এখন তার পতন বুঝতে পারছে। তাই সারাদেশে সিনিয়র নেতাসহ সব পর্যায়ের নেতাকর্মীদের ওপর সহিংস হামলা-মামলা শুরু হয়েছে। গয়েশ্বর চন্দ্র রায় সত্য কথা বলতে নির্ভীক ছিলেন বলে তার কণ্ঠ দমন করতে আওয়ামী দুর্বৃত্তরা তার বাড়িতে হামলা চালায়। তিনি সরকারের রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার।
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতির কারণে দেশবাসী এখন গভীর আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন ফখরুল। তিনি বলেন, দেশে বিএনপিসহ বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের ওপর জুলুম-নির্যাতন সীমাহীন পর্যায়ে পৌঁছেছে। রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাপনায় নজিরবিহীন ব্যর্থতা ঢাকতে এবং জনগণের দৃষ্টি সরিয়ে নিতে বিএনপি ও বিরোধী দলের নেতাদের সম্পত্তি, বাড়িঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে রক্তক্ষয়ী হামলা চালানো হচ্ছে।
মির্জা ফখরুল বলেন, সরকার বিএনপিকে নিশ্চিহ্ন করার মিশনে কাজ করছে। আর সেই মিশনের অংশ হিসেবে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর করা হয়।
বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, রক্তপাত ছাড়া এ সরকারের কিছু করার নেই। তারা নিজেদেরকে অবৈধভাবে ক্ষমতায় টিকিয়ে রাখার জন্য দেশকে গণতন্ত্রহীন করেছে; আর সে কারণেই দেশ থেকে বিরোধী দলকে নির্মূল করার কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের ওপর হামলার উদ্দেশ্য হলো সমাজে ভীতি সৃষ্টি করা, যাতে কেউ সরকারের বিরুদ্ধে কথা বলতে সাহস না পায়। এ কারণে সরকার ক্ষমতাসীন দলের সন্ত্রাসী ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে জল্লাদের মতো বিএনপির বিরুদ্ধে ব্যবহার করছে।
মির্জা ফখরুল গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের বাসভবনে হামলাকারী সন্ত্রাসীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
প্রসঙ্গত, গয়েশ্বর চন্দ্র রায় হলেন বিএনপির একজন প্রখ্যাত নেতা। দলের প্রতি তার অবদান অপরিসীম। দলকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবার জন্য তিনি অকান্তভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। তার বাড়িতে হামলার জন্য দুঃখ প্রকাশের সাথে সাথে মির্জা ফখরুল খুব নিন্দাও গ্যাপন করেছেন।