বগুড়ায় র্যাব পরিচয়ে তুলে নেওয়া কলেজ শিক্ষার্থী ফেরদৌস সরকারকে নরসিংদীর মাধবদী থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে এক নারীসহ দু’জনকে আটক করা হয়েছে।
ফেরদৌসের গ্রামের বাড়ি গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে। তিনি বগুড়া শহরের জহুরুল নগর এলাকার একটি ছাত্রাবাসে থেকে সরকারি শাহ সুলতান কলেজে পড়াশোনা করতেন। গত শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) রাত ২টার দিকে র্যাবের কালো জ্যাকেট পরা কয়েকজন যুবক ছাত্রাবাসে ঢুকে ফেরদৌসকে টেনে-হিঁচড়ে নিয়ে যায়।
ঘটনার পর ফেরদৌসের স্ত্রী মাহবুবা বেগম বগুড়ায় র্যাব কার্যালয়ে যোগাযোগ করলে তারা ফেরদৌসকে আটকের কথা অস্বীকার করে। এরই মধ্যে ফেরদৌসের হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর থেকে মুক্তিপণ হিসেবে ৭ লাখ টাকা দাবি করে অপহরণকারীরা। বাধ্য হয়ে মাহবুবা বেগম বিকাশে প্রায় তিন লাখ টাকা পাঠান।
পরে আরও টাকা দাবি করা হলে মাহবুবা বেগম বগুড়া সদর থানায় স্বামীর অপহরণের অভিযোগে মামলা করেন। পুলিশ দ্রুত তদন্ত শুরু করে। শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) বিকেলে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে বিকাশের মাধ্যমে টাকা উত্তোলন করতে গেলে এক নারীসহ দু’জনকে আটক করে পুলিশ।
বগুড়া সদর থানার ওসি এস এম মঈনুদ্দীন জানান, ফেরদৌসকে মাধবদীর একটি ফার্মেসি থেকে উদ্ধার করা হয়। স্থানীয়রা ফেরদৌসকে অসুস্থ অবস্থায় দেখে থানায় খবর দেন। পরে পুলিশ তাকে হেফাজতে নেয়। তবে কারা এবং কী কারণে ফেরদৌসকে অপহরণ করেছিল, তা এখনও পরিষ্কার নয়।
এ ঘটনার তদন্ত চলছে এবং এর সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের শনাক্ত করতে পুলিশ কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।