গভীর রাতে ছাত্রীনিবাসে তুলকালাম, জানা গেল নেপথ্যের কারণ

রাজশাহীর কাদিরগঞ্জ এলাকায় অবস্থিত ‘ঝলক-পলক’ নামের একটি ছাত্রীনিবাসে নিম্নমানের খাবারের প্রতিবাদ করায় এক ছাত্রীকে মারধরের ঘটনায় শিক্ষার্থীরা গভীর রাতে থানায় বিক্ষোভ মিছিল করেন। এ ঘটনায় ছাত্রীনিবাসের মালিকসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

রবিবার সকাল ১১টার দিকে নিম্নমানের খিচুড়ি পরিবেশনের প্রতিবাদ করেন এক ছাত্রী। তিনি ছাত্রীনিবাস ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত জানালে মালিকপক্ষ দাবি করে, চুক্তিপত্র অনুযায়ী ৭ মাসের আগে ছাত্রীনিবাস ছাড়া যাবে না। ছাত্রী চুক্তিপত্র দেখতে চাইলে মালিক জানান, এটি দেখতে হলে আইনজীবীর প্রয়োজন হবে।

এমন অযৌক্তিক শর্তের প্রতিবাদ জানালে মালিকের দুই ছেলে ঝলক ও পলক ওই ছাত্রীকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন। এতে বিক্ষুব্ধ ছাত্রীরা প্রতিবাদ করলে ঝলক ও পলক তাদের বন্ধুদের নিয়ে হুমকি দেন, রাজশাহীতে তাদের আর থাকতে দেওয়া হবে না।

ছাত্রীরা অভিযোগ করেন, দিনের বাকি সময় তাদের ছাত্রীনিবাসে অবরুদ্ধ করে রাখা হয় এবং রাতে সবাইকে ছাত্রীনিবাস ছেড়ে দিতে বলা হয়। ফোন পেয়ে ছাত্রদলের কিছু নেতাকর্মী রাত ১১টার দিকে এসে ছাত্রীনিবাসের তালা ভেঙে ছাত্রীদের বের করেন।

খবর পেয়ে বোয়ালিয়া থানার ওসি মেহেদী মাসুদ ঘটনাস্থলে গিয়ে দুইজনকে আটক করেন এবং ছাত্রীদের থানায় মামলা করার আহ্বান জানান। রাত সাড়ে ১২টার দিকে ছাত্রীরা মিছিল নিয়ে থানায় গিয়ে চারজনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন।

ওসি মেহেদী মাসুদ জানান, ‘তিনজনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। তাদের আদালতে পাঠানো হবে। অজ্ঞাতনামা আসামিদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।’

থানায় উপস্থিত নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার হাফিজুর রহমান বলেন, ‘ছাত্রীনিবাসের মালিক ও তার ছেলেরা এক ছাত্রীকে লাঞ্ছিত করেছেন। খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত পদক্ষেপ নেয় এবং তিনজনকে হেফাজতে নেয়।’

এ ঘটনায় ছাত্রীরা ন্যায়বিচারের দাবি জানিয়েছেন।


আকাশ থেকে দোকানের উপর আছড়ে পড়ে বিমান, নিহত সব আরোহী

ব্রাজিলের দক্ষিণাঞ্চলীয় গ্রামাদো শহরে একটি যাত্রীবাহী ছোট বিমান বিধ্বস্ত হয়ে বিমানে থাকা ১০ জনই প্রাণ হারিয়েছেন। রোববার (২২ ডিসেম্বর) সকালে এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে।

সরকারি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বিমানটি উত্তরাঞ্চলীয় পর্যটন এলাকা গ্রামাদোর একটি দোকানের ওপর বিধ্বস্ত হয়। নিহতদের মধ্যে বিমানের মালিক, পাইলট এবং মালিকের পরিবারের সদস্যরা ছিলেন।

রিও গ্রান্ডে দো সুল রাজ্যের গভর্নর এডওয়ার্ড লেট জানান, বিমানটি ১৯৯০ সালে তৈরি এবং এটি ক্যানেলা বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়ন করে সাও পাওলো রাজ্যের জুনদিয়াইয়ের দিকে যাচ্ছিল। তবে উড্ডয়নের কিছু সময় পর প্রতিকূল আবহাওয়ার মুখে পড়ে এই দুর্ঘটনা ঘটে।

দুর্ঘটনার কারণ খুঁজতে ইতিমধ্যে অ্যারোনটিক্যাল অ্যাক্সিডেন্ট ইনভেস্টিগেশন অ্যান্ড প্রিভেনশন সেন্টার (সেনিপা) তদন্ত শুরু করেছে।

বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার পর দোকান ও আশপাশের এলাকায় অন্তত ১৭ জন আহত হন। আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে, যাদের মধ্যে দুজনের অবস্থা গুরুতর।

উল্লেখ্য, রিও গ্রান্ডে দো সুল রাজ্যের জনপ্রিয় পর্যটন শহর গ্রামাদো চলতি বছরের শুরুতে ভয়াবহ বন্যার কবলে পড়ে, যা প্রাণহানি ও ব্যাপক অর্থনৈতিক ক্ষতির কারণ হয়েছিল।