লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় এক প্রমেকি যুগলকে যুবতীর ভাই ও গ্রামবাসীর বিরুদ্ধে রাতের আঁধারে এক তরুণকে আটক করে গাছের সঙ্গে বেঁধে নি/র্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। গাছে দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখার ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে।
এ নিয়ে উপজেলাজুড়ে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় উঠেছে। ধর্ষ/ণ মামলায় প্রেমিক তপনকে (২২) গতকাল সকালে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ। এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার সিংগামারী ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের সাবেক সদস্য রাহেলার বাড়ির সুপারি গাছে বেঁধে রাখে প্রেমিক-প্রেমিকাকে। নির্যাতনের শিকার তপন ওই ওয়ার্ডের সুভাষ চন্দ্রের ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে তপন ও তরুণীর মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক চলে আসছিল। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে তপনের বাড়ি আসে তরুণী। বিষয়টি আঁচ করতে পেরে এলাকাবাসী তাদের আটক করে সিংগীমারী ইউপির সাবেক সদস্য রাহেলা বেগমের বাড়ির গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতন করে। খবর পেয়ে পুলিশ তাদের উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। এ ঘটনায় এলাকাজুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। পরে মেয়ের বাবা তপনের বিরুদ্ধে থানায় ধর্ষণ মামলা করেন। সে মামলায় তপনকে আটক করে পুলিশ। আর তরুণীকে পরীক্ষা করাতে লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এ বিষয়ে তপন বলেন, মেয়েটির পরিবারের সঙ্গে মামলা-মোকদ্দমা চলছে। এ কারণে তারা আমাকে বাড়ি থেকে বের করে গাছের সঙ্গে বেঁধে নি/র্যাতন করে। এ বিষয়ে জানতে মেয়েটির বাবার মোবাইলে ফোন করলে তিনি ‘ব্যস্ত আছি, পরে কথা হবে’ বলে কেটে দেন। সাবেক ইউপি সদস্য রাহেলা বেগম জানান, মেয়ের ভাই তাদের গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখে। পরে পুলিশ এসে তাকে উদ্ধার করে। হাতীবান্ধা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ আলম বলেন, তরুণীর বাবা বাদী হয়ে অভিযোগ দায়ের করায় তপনকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।তবে যুবকদের নি/র্যাতনের বিষয়টি আমি জানি না।