লিটন ( Liton ) দাসের দূর্দান্ত ব্যাটে বাংলাদেশের( Bangladesh ) কাছে সিরিজ হারলো সফরত আফগানিস্তান দল। সম্প্রতি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভাল না করায় তাকে সমালোচনায় পড়তে হয়। তিনি বাংলাদেশের জাতীয় দলের হয়ে অনেক দিন খেলছেন। বাংলাদেশের( Bangladesh ) প্রেক্ষাপটে যে কোন খেলোয়াড়কেই সমালোচনায় মুখে পড়তে হয় পারর্ফেমেন্স খারাপ করলে। অসামান্য ব্যাটিং নৈপূন্য দেখিয়ে লিটন ( Liton ) দাস আফগানিস্তাকে আশাহত করেন বাংলাদেশ আফগান ওয়ানডে সিরিজে।
আফগানিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের ( Bangladesh ) ২-১ ব্যবধানে ওয়ানডে সিরিজ জয়ে লিটন( Liton ) দাসের ভূমিকা ছিল। একটি সেঞ্চুরি ও একটি ফিফটি সহ তিনটি ম্যাচে ৭৪.৩৩ গড়ে ২২৩ রান করেছেন লিটন( Liton )।
অসামান্য পারফরম্যান্সের পুরস্কার হিসেবে বুধবার প্রকাশিত আইসিসি ( ICC ) ওয়ানডে ব্যাটসম্যানদের র্যাঙ্কিংয়ে ক্যারিয়ারের সেরা অবস্থানে উঠেছেন বাংলাদেশ ওপেনার। তিন ধাপ এগিয়ে লিটন এখন ৩২ নম্বরে।
মিরপুরে প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচেও ব্যাট করেছেন তিনি। ৪৪ বলে ৬০ রানের ইনিংস খেলেন।
এতসব দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের পর যে কথাটি উঠে এসেছে তা হলো: বিশ্বকাপে ব্যর্থতার কারণে টি-টোয়েন্টি দলে জায়গা হারিয়েছেন লিটন( Lytton ) দাস। তাকে ছাড়াই পাকিস্তান ( Pakistan ) সিরিজের দল সাজানো হয়েছিল।
পরে বিপিএলসহ ( BPL ) অন্য দুই ফরম্যাটে ভালো করার পর জাতীয় দলে ফিরেছেন লিটন। আর টি-টোয়েন্টি দলে ফেরার ম্যাচে দুর্দান্ত হাফ সেঞ্চুরি করেন লিটন।
আর এমন পারফরম্যান্সের পর সংবাদ সম্মেলনে এসে মেজাজ হারালেন লিটন। কারণ পাকিস্তান( Pakistan ) সিরিজে তার বাদ পড়ার বিষয়টি সংবাদ সম্মেলনে হিসেবে উপস্থাপন করা হয়েছিল।
এতেই ক্ষুব্ধ হন লিটন( Liton )।
এক সাংবাদি বলতে চাইলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন লিটন। বলেন,আমাকে বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে নাকি বাদ দেওয়া হয়েছে? বিশ্রাম কি? অনেক ক্রিকেট খেলেছি, তাতেই বিশ্রাম নেব। ছুটির দিন? আগে পুরো খবর ভালো করে জেনে নিন, তারপর প্রশ্ন করুন। বিশ্বকাপের পর এসে সরাসরি জাতীয় লিগে খেলেছি, ছুটি নিয়েছি কোথায়?
কিন্তু এরপর মেজাজ সামলে নেন লিটন।
জাতীয় দল থেকে বিরতি তাকে দুর্দান্ত ফর্মে থাকতে সাহায্য করেছে কিনা জানতে চাইলে লিটন বলেছিলেন: “আমি শুধু কিছু খেলছিলাম। আমি টেস্ট খেলছিলাম, আমি ওয়ানডে খেলছিলাম। আমি ধারাবাহিক ছিলাম। তারা ভেবেছিল লিটন খেলতে পারলে ভালো হবে। আমি শতভাগ দেওয়ার চেষ্টা করেছি।
এরপর ওপেনার বলেন,টি-টোয়েন্টিতে চাপ বেশি। ওয়ানডেতে সময় পাওয়া যায়। পরীক্ষা আরো. ছন্দে থাকলে সব সংস্করণই সহজ হয়ে যায়। আর টি-টোয়েন্টি চাপের খেলা হলেও ভালো ইনিংস খেলার সময় আছে।
আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের( Bangladesh ) বিশেষ পরিকল্পনা ছিল। স্বাগতিকরা বিশেষ করে পাওয়ারপ্লেতে আরও বেশি রান করতে চেয়েছিল।
লিটন বলেন, “আমাদের পরিকল্পনা ছিল ১৬০ রান করা। এর বেশি চিন্তা করলে ঝুঁ’কি নিতে হবে। তারা স্পিন খুব ভালো। আমরা ১৫০-১৬০ রান করার কথা ভেবেছিলাম।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের খেলায়াড়দের ঘিরে নানা রকম আলোচনা সমালোচনা প্রত্যক্ষ করেন ক্রিকেট প্রেমীরা। খেলায়াড়দেরকে মিডিয়াসহ যেকোন গনমাধ্যমের সামনে এসে বক্তব্য দেয়ার সময় নিজেকে সংযত রেখেই বক্তব্য দিবেন ক্রিকেট প্রেমীরা এ্টাই প্রত্যাশা। একটি দেশের বিনোদনের মাধ্যমে হিসাবে ক্রিকেট অঙ্গন অনেক বড় ভূমিকা পালন করে জনমানুষের নিকটে। ক্রিকেট শুধু দেশে নয় সারা পৃথিবীতে বিনোদনের মাধ্যমে হিসাবে সমাদৃত সুতারাং ক্রিকেটারদেরকে বিবচনাপ্রসূত বক্তব্য কাম্য।