তিনবার ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে দাঁড়িয়েছিলেন মো. আব্দুল আলী বেপারী। প্রতিটি নির্বাচনে তার জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে। এবার তিনি আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মানিকগঞ্জ-১ আসন থেকে লড়বেন। সর্বশেষ ইউপি নির্বাচনে নমিনেশন কেনার পর তার স্ত্রী তাকে দা নিয়ে তাড়া করেন।
বৃহস্পতিবার বিকেলে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পর মানিকগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের বারান্দায় এ প্রতিবেদকের সঙ্গে কথা বলেন সংসদ সদস্য প্রার্থী আব্দুল আলী বেপারী। আবুল আলী বেপারী ঘিওর উপজেলার সিংজুরী ইউনিয়নের বেড়াডাংগা গ্রামের কিয়ামুদ্দিনের ছেলে।
স্বশিক্ষিত মো. আব্দুল আলী বেপারী জানান, তার স্ত্রী বা তার পরিবারের কোন সদস্য বা অন্য কেউ তাকে ভোট দিল কিনা তার কোন টেনশন নেই। তার একটাই চিন্তা তার নিজের ভোট ব্যালটে আছে কিনা! নিজের ভোট নিশ্চিত করতে তিনি এমপি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে যাচ্ছেন। তিনি বলেন, ব্যালটে ভোট না পেলে দেশের সর্বোচ্চ আদালতে লড়বেন। প্রয়োজনে তিনি যে দেশে বিচার পাবেন সেখানে যাবেন।
তিন বার ইউপি চেয়ারম্যান পদে হেরে সরাসরি এমপি পদে নির্বাচন কেন আসলেন? এর জবাবে আব্দুল আলী জানালেন, কেন যেন নির্বাচন আসলেই মন চায় আমি নির্বাচন করি। সেই খায়েশ থেকে মানুষের জন্য কিছু করতে চাওয়া থেকে তার নির্বাচনে আসা।
তিনি বলেন, প্রথম নির্বাচনে ৮ জন প্রার্থীর মধ্যে তিনি ছিলেন ষষ্ঠ। আর গত ইউপি নির্বাচনে তিনি পেয়েছিলেন ৬৩ ভোট। এক সময় ঢাকায় ইট-বালি সরবরাহের ব্যবসা করতেন। এখন দুই বছর হলো অবসরে। শরীরটা ভালো যাচ্ছে না।
বললেন, এমপি হয়ে জনগণের জন্য জানপ্রাণ দিয়ে জনগণের সেবা করতে চাই। আমার স্ত্রী আমাকে নির্বাচন করতে নিষেধ করা স্বত্বেও পালিয়ে এসে মনোনয়ন পত্র কিনেছি।
তিনি বলেন, সর্বশেষ ইউপি নির্বাচনের সময় নমিনেশন কিনে স্ত্রীর ভয়ে অন্যের বাড়ি রেখে এসেছিলাম। বাড়ি আসার পর আমার স্ত্রী দা দিয়ে জবাই করতে আসে। পরে দৌড়ে প্রাণে রক্ষা পাই।
তিনি বলেন, আমার আয়ু থাকতে যত নির্বাচন হবে সব গুলোতে নির্বাচন করার ইচ্ছে আছে বলে জানান আব্দুল আলী।
এমপি প্রার্থী আব্দুল আলী বেপারী জানালেন, তিনি ২০১১, ২০১৬ সর্বশেষ ২০২১ সালে তিনি স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করে সব চেয়ে কম ভোট পেয়ে ফেল করেছেন। আমাকে মানুষ ভোট দেয় না! এটি আমি আমার নিজের দেওয়ার জন্য। স্বতন্ত্র হিসেবে তিনি দেখবেন তার নিজের ভোটটি দিতে পারেন কিনা সেটিই দেখার জন্য ভোটে দাঁড়িয়েছেন। আমাকে যদি কারো ভালো লাগে তাহলে সে দিবে না হলে আমার ভোট না হলে আমি আমার ভোটটি আমি নিজে দিব।
তিনি আরও বলেন, আমার স্ত্রীসহ বাড়ির লোকজন আমাকে ভোট দিল কিনা সেটি নিয়ে আমার কোনো মাথা ব্যথা নেই।