জ্বালানি তেল খুব প্রয়োজনীয় একটি জিনিস। সারা বিশ্বে এর চাহিদা রয়েছে অপরিসীম। জ্বালানী তেলের ব্যবহার ছাড়া বিশ্বের অনেক কলকারখানা ও যানবাহন একেবারে নিশ্চল হয়ে পড়বে ফলে মানব জীবনে নেমে আসবে সীমাহীন দুর্গতি। জ্বালানি তেল হলো প্রাকৃতিক একটি আশীর্বাদ। যত দিন যাচ্ছে ততটাই জ্বালানি তেলের ব্যবহার অধিক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। সম্প্রতি জানা গিয়েছে জ্বালানি তেলের দাম প্রায় ৫ শতাংশ কমে আট মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমে এসেছে গতকাল।
শুক্রবার (২৩ সেপ্টেম্বর) আট মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন স্তরে জ্বালানির দাম সর্বনিম্ন স্তরে নেমে গেছে। দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে মার্কিন ডলারের দাম সর্বোচ্চ স্তরে পৌঁছেছে। বড় অর্থনীতিতে সুদের হার বাড়ানোর ভয়ে তেলের চাহিদা হ্রাস পেয়েছে। এবং এই কারণে, আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দামও হ্রাস পেয়েছে। তথ্যটি সম্প্রতি একটি নিউজ এজেন্সি রয়টার্সের প্রতিবেদনে রিপোর্ট করা হয়েছিল।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ব্রেন্ট অপরিশোধিত তেল ৪ দশমিক ৩১ ডলার বা ৪ দশমিক ৮ শতাংশ কমে ব্যারেল প্রতি দাঁড়িয়েছে ৮৬ দশমিক ১৫ ডলার। সপ্তাহটিতে ব্রেন্টের দাম কমেছে প্রায় ৬ শতাংশ।এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট (ডব্লিউটিআই) অপরিশোধিত তেলের দাম ৪ দশমিক ৭৫ ডলার বা ৫ দশমিক ৭ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৭৮ দশমিক ৭৪ ডলার। সপ্তাহটিতে দাম কমেছে প্রায় ৭ শতাংশ।এ নিয়ে টানা চতুর্থ সপ্তাহ অপরিশোধিত তেলের উভয় বেঞ্চমার্কের দর পতনের ঘটনা ঘটল। এটি গত বছরের ডিসেম্বরের পর প্রথমবার ঘটেছে।
প্রসঙ্গত, গত ১০ জানুয়ারি থেকে ডব্লিউটিআই অপরিশোধিত তেলের দাম সর্বনিম্ন এবং ব্রেন্ট তেলের দাম ১৪ জানুয়ারি থেকে সর্বনিম্ন ছিল। এদিকে, মার্কিন পেট্রোল এবং ডিজেলের দামও বর্তমানে ৫ শতাংশের বেশি কমেছে। বুধবার সুদের হার ৭৫ বেসিস পয়েন্ট বাড়িয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক। বিশ্বজুড়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো এর সঙ্গে সমন্বয় করে সুদের হার বাড়িয়েছে। এর মধ্য দিয়ে অর্থনৈতিক মন্দার ঝুঁকি বৃদ্ধি পেয়েছে। সূত্র: রয়টার্স
প্রসঙ্গত, মাঝে জ্বালনি তেলের দাম হঠাৎ করেই অস্বাভাবিকভাবে ভেড়ে যাওয়াতে সাধারণ মানুষ সম্পূর্ণভাবে হয়ে পড়েছিল দিশেহারা। এমনটা হবে সেটা জনগন কখনো ভাবতেই পারেনি। বিশ্বে জ্বালানি তেলের দাম বেড়ে যাওয়াতে বাংলাদেশেও পড়েছিল সেই ভয়ানক প্রভাব। তবে বর্তমান সরকার জনগনের কষ্টের কথা চিন্তা করে জরুরী পদক্ষেপের মাধ্যমে কমানো জ্বালানি তেলের দাম।