সীমান্তের কান্ড যেন থামছেই না। একের পর এক ঘটনায় উত্তাল হয়ে থাকে দুই দেশের সীমান্ত। আর এ ক্ষেত্রে সব থেকে বেশি ক্ষতি হয়ে থাকে বাংলাদেশের। এ দিকে সীমান্তে গরু নিয়ে আসার বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, গতবার যখন আমি ভারতে গিয়েছিলাম, ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আমাকে বললেন, আমরা তোমাদের আর গরু দেব না। আমি বলেছিলাম আলহামদুলিল্লাহ, আমাদের লাগবেও না, আমরা সমৃদ্ধ। তবুও দুয়েকজন অতি উৎসাহী গরু ব্যবসায়ীর কারণে সীমান্তে দুর্ঘটনা খু’/নে’/র’/ ঘটনা ঘটে।
শনিবার চট্টগ্রামের সাতকানিয়ার বায়তুল ইজ্জতে বিজিবির ঐতিহ্যবাহী প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান বর্ডার গার্ড ট্রেনিং সেন্টার অ্যান্ড কলেজের (বিজিটিসিএন্ডসি) বীর উত্তম মজিবুর রহমান প্যারেড গ্রাউন্ডে নবীন সৈনিকদের প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
আমাদের দেশে ক্যাটল (গরু) খামারের উন্নতি ঘটেছে। তবুও অতি লোভী দুয়েকজন গরু ব্যবসায়ীর কারণে সীমান্তে হত্যার মতো ঘটনা ঘটছে। সীমান্তে অনেকের বাড়ি। সীমান্ত এলাকায় আত্মীয়তার সূত্রে যাতায়াতও আছে। সে কারণে অনেক সময় ভুল বোঝাবুঝি হয়।
সীমান্ত হত্যা শূন্যে নামিয়ে আনার ব্যাপারে ভারতের প্রতিশ্রুতি সত্ত্বেও কেন বন্ধ হচ্ছে না জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, সীমান্ত দিয়ে চোরাচালান বন্ধের জন্য আমরা যথেষ্ট তৎপর রয়েছি। সীমান্তে বিওপি বাড়ানো হয়েছে। আমরা বর্ডার সার্ভিলেন্স সিস্টেম উন্নত করেছি। শুধু তাই নয়, আধুনিক ইক্যুইপমেন্ট, যান সংযোগ করেছি। যা যা প্রয়োজন তা দিয়েই বিজিবিকে সমৃদ্ধ করছি। চোরাচালান বন্ধের পাশাপাশি আমরা সীমান্ত হত্যা বন্ধেও প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
দীর্ঘদীন ধরেই বাংলাদেশের সাথে সীমান্তের বিষয়ে কোন সমঝোতায় আসতে পারছে না ভারত। যার ফলে একের পর এক প্রাণ ঝড়েই যাচ্ছে সীমান্তে প্রাণ। এ নিয়ে তিনি আরো বলেন, সীমান্তে হ’/ত্যা’/র’/ ঘটনা ঘটে। মন্ত্রী পর্যায়ে ও বিজিবি বিএসএফ পর্যায়ে কথা হচ্ছে। আমরা মনে করি খুব শিগগিরই মারণাস্ত্র ব্যবহার করব না। কারণ দুইপক্ষই প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। সেই জায়গাটাতে আমরা যেন প্রতিশ্রুতি মেনে চলি তাহলে সীমান্ত ‘/হ’/ত্যা’/ বন্ধ হবে।