জনপ্রিয় পরিচালক সোহানুর রহমান সোহানের মৃ/ত্যুর খবর পেয়ে কেঁদে ওঠেন চিত্রনায়িকা মৌসুমী। কাঁদবেই তো! যার হাত ধরে রুপালি পর্দায় যাত্রা, তিনি চলেন গেছেন না ফেরার দেশে। আর কখনো দেখা হবে না, আর কখনো ওস্তাদ বলে ডাকা হবে না তার।
বাংলাদেশের কালজয়ী সিনেমা ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’। ১৯৯৩ সালের ২৫ মার্চ বাংলাদেশের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’। সোহানুর রহমান সোহান পরিচালিত এ ছবির মাধ্যমে দেশের চলচ্চিত্রপ্রেমীরা পেয়েছেন নতুন দুই মুখ মৌসুমী ও সালমান শাহ। সালমানশাহ বহু আগেই মা/রা গেছেন। এবার সোহানও বিদায় নিলেন।
প্রিয় পরিচালকের মৃ/ত্যুতে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া নিতে মৌসুমীকে ফোন করা জানানো হয়। ফোন তুলে ওপাশা কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলল, ‘গতকাল ভাবী চলে গেলেন। আজ শুনি আমাদের সোহান ভাইও নেই। বলেই ওমর সানীর হাতে ফোন ধরিয়ে দেন মৌসুমী। সোহানুর রহমান সোহানের রুহের মাগফেরাত কামনায় সকলকে দোয়া করারও আহ্বান জানান ওমর সানী।
গতকাল (১২ সেপ্টেম্বর) সোহানুর রহমান সোহানের স্ত্রী প্রিয়া রহমান স্ট্রোক করে মা/রা যান। ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই চলে গেলেন সুপারহিট ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’সহ অসংখ্য হিট সিনেমার নির্মাতা।
সোহানুর রহমান ৭০ দশকের শেষ দিকে সোহান শিবলী সাদিকের সহকারী হিসেবে তার চলচ্চিত্র জীবন শুরু করেন। পরবর্তীতে তিনি শহীদুল হক খানের ‘কলমিলতা’ (১৯৮১), এ জে মিন্টুর ‘অশান্তি’ (১৯৮৬) এবং শিবলী সাদিকের ‘ভেজা চোখ’ (১৯৮৮) ছবিতে সহকারী হিসেবে কাজ করেন। একক ও প্রধান পরিচালক হিসেবে তাঁর প্রথম ছবি ‘বিশ্বাস অবিশ্বাস’ ১৯৮৮ সালে মুক্তি পায়। তিনি প্রাথমিকভাবে প্রেম-বিরহ ঘরানার মূলধারার চলচ্চিত্র পরিচালনায় জড়িত ছিলেন। তিনি ২৫টি চলচ্চিত্র নির্মাণ করেছেন।
চলচ্চিত্র নির্মাণ ছাড়াও তিনি বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে এবং ব্যক্তিগত উদ্যোগে ছবি নির্মান ও অভিনয়ের শিক্ষক হিসেবেও কাজ করেছেন।