মির্জা ফখরুল ( Mirza Fakhrul ) হলেন বিএনপির ( BNP ) মহাসচিব। বিএনপি হলো বাংলাদেশের ( Bangladesh ) অন্যতম একটি রাজনৈতিক দল। এই দলের প্রতিষ্ঠাতা হলেন শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান। মির্জা ফখরুল ( Mirza Fakhrul ) দায়িত্ব পাওয়ার সাথে সাথে নিষ্ঠার সহিত কাজ করে যাচ্ছেন। আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিএনপি বিভিন্ন সভা-সমাবেশ করছে। সম্প্রতি মির্জা ফখরুল ( Mirza Fakhrul ) গণসংহতির সাথে বৈঠিকের পর কোনো রকম মৌলিক মতভেদ তিনি দেখেন নি বলে জানান।
মির্জা ফখরুল ( Mirza Fakhrul ) ইসলাম আলমগীর ( Fakhrul Islam Alamgir ) বলেন, গণসংহতি আন্দোলনের সঙ্গে একযোগে ১৪৪ ধারা নিয়ে আন্দোলনে ঐক্যমত্য হয়েছে। মঙ্গলবার ( Tuesday ) (৩১ মে ( May )) হাতিরপুলে ( Hatirpul ) দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের সঙ্গে দুই ঘণ্টার রাজনৈতিক সংলাপ শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন বিএনপি মহাসচিব।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে, গণআন্দোলনের মাধ্যমে, দেশের সব মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করে, রাজনৈতিক দলগুলোকে ঐক্যবদ্ধ করে, আমাদের সকল অর্জনকে ধ্বংসকারী এই ভয়ঙ্কর ফ্যাসিবাদী সরকারকে হটিয়ে সত্যিকারের জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে আমরা রাজি হয়েছি। ” . আমরা যুগপৎ আন্দোলনে রাজি হয়েছি। যে বিষয়ে আমরা একমত হয়েছি তা হল এই সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে, সংসদ ভেঙে দিতে হবে। সংসদ বাতিল করে আমরা বলেছি নিরপেক্ষ নির্বাচনী সরকার গঠন করতে হবে। তাদের অধীনে নির্বাচন কমিশন গঠন করা হবে এবং তাদের মাধ্যমে নির্বাচন হবে। সেই নির্বাচনের মাধ্যমেই ভবিষ্যৎ সংসদ ও সরকার গঠিত হবে।
“আমরা আমাদের আলোচনায় কোন মৌলিক পার্থক্য দেখিনি,” তিনি বলেন। তবে নির্বাচনকালীন সরকারের নাম, অন্তর্বর্তী বা নিরপেক্ষ সরকার নিয়ে মতপার্থক্য থাকতে পারে। এতে কোনো সমস্যা হবে না। আমরা আলোচনার মাধ্যমে এ বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছাতে সক্ষম হব।
ফখরুল বলেন, আজকের আলোচনা খুবই ফলপ্রসূ হয়েছে বলে আমরা আশাবাদী। এই আলোচনা চলবে। আমরা বিশ্বাস করি যে অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলির সাথে আমরা যে প্রক্রিয়া শুরু করেছি তা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব একটি যৌক্তিক সিদ্ধান্তে পৌঁছাবে এবং যারা আমাদের রাষ্ট্র ব্যবস্থাকে ধ্বংস করছে, আমাদের জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষাকে প্রাণনাশ করছে তাদের বিরুদ্ধে ফলোআপ আন্দোলন শুরু করে জয়যুক্ত হতে সক্ষম হবো।
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি বলেন, “আমরা মনে করি আমাদের দলের পক্ষ থেকে এটা স্পষ্ট যে বর্তমান সরকারকে পতনের জন্য একটি আন্দোলনের প্রয়োজন এবং যদি আজ বিরোধী দলের পক্ষ থেকে একটি জাতীয় রূপরেখা বের হয়, তাহলে জনগণ নতুন করে উত্তেজিত হবে। ” বৃহত্তর ঐক্য গড়তে পারব এবং বর্তমান সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করব। সেজন্য আমরা প্রথমে একমত হয়েছিলাম যে যার যার অবস্থান থেকে আন্দোলন একযোগে পরিচালনা করতে হবে।
বর্তমান সরকার দেশের জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়ে ১৬ কোটি মানুষকে এক লাইনে দাঁড় করিয়েছে এবং ভোটের অধিকারের দাবিতে আজ থেকে প্রত্যেকে নিজ নিজ আন্দোলন শুরু করবে। সরকার যেহেতু একটি জাতীয় ঐক্য প্রতিষ্ঠা করেছে, তাই এই জাতীয় আন্দোলন ভবিষ্যতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করবে। ইতিমধ্যে, আমরা কীভাবে সমন্বয় করতে হয় তার যুগপত প্রবণতা নিয়ে আলোচনা করেছি এবং ভবিষ্যতেও তা চালিয়ে যাব। এর মাধ্যমে ভবিষ্যতের কাঠামোর একটি রূপরেখা অবশ্যই সামনে আসবে।
মঙ্গলবার দুপুর সোয়া ১২টায় হাতিরপুলে গণসংহতি আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আসেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুক ও সাবেক সংসদ সদস্য জহির উদ্দিন স্বপন। গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকির নেতৃত্বে ১১ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল আলোচনায় অংশ নেয়।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি গঠিত হয়েছে নতুন গণতন্ত্র মঞ্চ আর এই গণতন্ত্র মঞ্চ গঠিত হয়েছে ৭ টি দলের সমন্বয়ে। মূলত বিএনপি সমর্থিত এই নবগঠিত গণতন্ত্র মঞ্চের সাথে বৈঠিক করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুলসহ আরো অনেক নেতারা। সম্প্রতি এই বৈঠিক থেকে মির্জা ফখরুল জানালেন ভিন্নধর্মী কথা।