যারা বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করবে তাদের বিরুদ্ধে আমরা কথা বলব এবং যুক্তরাষ্ট্র এই ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ভিসা নীতি প্রয়োগ করবে।
দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যম সম্পাদকদের সংগঠন এডিটরস গিল্ডের চিঠির জবাবে ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস এ মন্তব্য করেন। মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) তিনি চিঠির জবাব দেন।
চিঠির জবাবে মার্কিন রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন ঘোষিত ভিসা নীতি অনুযায়ী গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য যদি গণমাধ্যমকে তাদের মতামত প্রকাশে বাধা দেওয়া হয়, তাহলে সংশ্লিষ্ট যে কেউ ভিসা নীতির আওতায় পড়বেন। যুক্তরাষ্ট্র সংবাদপত্রের মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে সমর্থন করে।
পিটার হাস বলেন, অতীতের মতো, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সরকারগুলিকে তাদের সংস্থান এবং সংস্থাগুলি ব্যবহার করে সেন্সরশিপ, ইন্টারনেট পরিষেবা সীমিত করা এবং সাংবাদিকদের হ/য়রানি করার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা অব্যাহত রাখবে।
সম্প্রতি, চ্যানেল ২৪-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে পিটার হাস মন্তব্য করেছেন যে মিডিয়াও মার্কিন ভিসা নীতির আওতায় আসতে পারে। এ বিষয়ে জানতে তাকে চিঠি দেন এডিটরস গিল্ডের সভাপতি মোজাম্মেল বাবু ও সাধারণ সম্পাদক ইনাম আহমেদ।
এর আগে সংগঠনটির সভাপতি ও ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহফুজ আনাম এবং সম্পাদকমণ্ডলীর পক্ষে সাধারণ সম্পাদক ও বণিক বার্তা সম্পাদক দেওয়ান হানিফ মাহমুদের পাঠানো চিঠির জবাবে পিটার হাস একই কথা বলেছিলেন। জবাবে মার্কিন রাষ্ট্রদূত লিখেছেন, যুক্তরাষ্ট্র সংবাদপত্রের স্বাধীনতাকে সমর্থন অব্যাহত রাখবে। যারা বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে ক্ষুণ্ন করতে চায় তাদের জন্য ভিসা নীতি প্রয়োগ করবে যুক্তরাষ্ট্র।