দলের প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে রয়েছেন। তিনি দলের সিনিয়র নেতাদের একজন। দলের ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবেও সরকারবিরোধী আন্দোলন-সংগ্রামে সক্রিয় ছিলেন। গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির সাধারণ সভাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক সহিংসতার মামলায় প্রবীণ এই রাজনীতিবিদকেও গ্রেপ্তার করা হয়।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিনের একদিন আগে তিনি কারাগার থেকে মুক্তি পান। পরদিন শাহজাহান ওমর আজীবন রাজনৈতিক মঞ্চ ছেড়ে আওয়ামী লীগে যোগ দেন এবং নৌকার প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন ফরম জমা দেন। তার রাজনৈতিক ইউটার্ন আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দিয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) রাতে যমুনা টেলিভিশনে সমসাময়িক রাজনীতি নিয়ে আলোচনায় অংশ নেন ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর বীর উত্তম। সেখানে খোলামেলাভাবে বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন তিনি। আলোচনার একপর্যায়ে তাকে প্রশ্ন করা হয়, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আপনি কীভাবে দেখা করলেন এবং তিনি আপনাকে কী বললেন? ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর বলেন, “আমি ২৯ নভেম্বর সন্ধ্যায় কারাগার থেকে বের হয়ে আসি।
পরদিন সকাল ১১টায় আওয়ামী লীগের একজন সিনিয়র নেতা ফোন করেন। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী বৈঠকের জন্য ডেকেছেন। আমার কি অস্বীকৃতি জানানোর ঔদ্ধত্য আছে? এই প্রস্তাব?সেই আহ্বানে সাড়া দিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে গণভবনে গিয়েছিলাম। সেদিন গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ১৫ মিনিট কথা বলেছিলাম।
তিনি বলেন, ‘মনে হচ্ছে দেশ পরিচালনার প্রবল ক্ষমতা তার আছে। আমার সাথে কথা বলার সময় রাজ্যের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা শেয়ার করেছেন। তিনি আমার সাথে আন্তর্জাতিক নীতি শেয়ার করেছেন। উন্নয়নের কথা বলেছেন।
বিদেশিরা কেন আমাদের দেশে হস্তক্ষেপ করছে তাও জানালেন। বৈশ্বিক সম্পর্ক কীভাবে বাড়ানো যায় সে বিষয়েও ধারণা দেন প্রধানমন্ত্রী। এরপর ভাবলাম- এমন নেতাকে দিয়ে রাজনীতি করা যায়। কোনো কারণে এই নির্বাচন না হলে বিএনপিতে ফিরবেন কি? জবাবে তিনি বলেন, ‘আমি আওয়ামী লীগে আসছি। আমি ফিরব না। নির্বাচন না হলে আওয়ামী লীগের অন্যান্য নেতা-কর্মীদের মতোই আমার অবস্থা হবে।