ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর শুরু থেকেই বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে ছিলেন। তিনি দলের সিনিয়র নেতাদের একজন। দলের ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবেও সরকারবিরোধী আন্দোলন-সংগ্রামে সক্রিয় ছিলেন।
গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক স/হিংসতার মামলায় প্রবীণ এই রাজনীতিবিদকেও গ্রেপ্তার করা হয়। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিনের একদিন আগে তিনি কারাগার থেকে মুক্তি পান। পরদিন শাহজাহান ওমর আজীবন রাজনৈতিক প্লাটফরম ছেড়ে আওয়ামী লীগে যোগ দেন এবং নৌকার প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন ফরম জমা দেন। তার রাজনৈতিক ইউটার্ন আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দিয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাতে যমুনা টেলিভিশনে সমসাময়িক রাজনীতি নিয়ে আলোচনায় অংশ নেন ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর বীর উত্তম। সেখানে খোলামেলাভাবে বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন তিনি।
আলোচনার একপর্যায়ে তাকে প্রশ্ন করা হয়, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আপনার কীভাবে সাক্ষাৎ হলো এবং তিনি আপনাকে কী বলেছিলেন?
প্রশ্নের জবাবে ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর বলেন, আমি ২৯ নভেম্বর সন্ধ্যায় কারাগার থেকে বের হয়েছি। পরদিন সকাল ১১টার দিকে আওয়ামী লীগের এক সিনিয়র নেতা ফোন করেন। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী সাক্ষাতের ডেকেছেন। আমার কি এই অফার প্রত্যাখ্যান করার ঔদ্ধত্য আছে? সেই আহ্বানে সাড়া দিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে গণভবনে গিয়েছিলাম। ওই দিন আমি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে গণভবনে ১৫ মিনিট কথা বলেছিলাম।
মনে হয় দেশ পরিচালনার প্রবল ক্ষমতা তার আছে। আমার সাথে কথা বলার সময় রাষ্ট্রের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা শেয়ার করেছেন। তিনি আমার সাথে আন্তর্জাতিক নীতি শেয়ার করেছেন। উন্নয়নের কথা বলেছেন। বিদেশিরা কেন আমাদের দেশে হস্তক্ষেপ করছে তাও জানান। বৈশ্বিক সম্পর্ক কীভাবে বাড়ানো যায় সে বিষয়েও ধারণা দেন প্রধানমন্ত্রী। এরপর ভাবলাম, এমন নেতার সঙ্গে রাজনীতি করা যায়।
কোনো কারণে এই নির্বাচন না হলে বিএনপিতে ফিরবেন কি?
আওয়ামী লীগে আসছি। আমি ফিরব না। নির্বাচন না হলে আওয়ামী লীগের অন্যান্য নেতাকর্মীদের মতো আমারও একই অবস্থা হবে।