সম্প্রতি সরকার হঠাৎ করে জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি করায় ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয় নানা মহলে। এমনিতে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মল্যের উর্ধ্ব গতিতে দেশের মধ্যবিত্ত-নিম্ন মধ্যবিত্ত মানুষের জীবন চালনা কষ্ট সাধ্য হয়ে পড়েছে তার মধ্যে নতুন করে জ্বালালি তেলের দাম বৃদ্ধির সিদ্ধান্তকে আত্মঘাতি বলে মন্তব্য করেন অর্থনীতিবিদরা। জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির কারনে পরিবহনের ভাড়া যে নিয়ে নৈরাজ্য সৃষ্টি হচ্ছে। বাসভাড়া নিয়ে নৈরাজ্যের নিয়ে আওয়ামীলীগ সাধারন সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে যা বললেন প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী জাফরউল্লাহ।
বাসে যে যার ইচ্ছামতো ভাড়া নিচ্ছে বলে অভিযোগ আছে, এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরাসড়কে গণপরিবহনে ভাড়া নিয়ে অনিয়মের শেষ নেই। দীর্ঘদিন ধরেই চলে আসছে এই অনিয়ম। যে যার ইচ্ছামতো ভাড়া নেয়। এর মধ্যে আবার যখন জ্বালানি তেলের দাম বাড়ে, তখন এই নৈরাজ্য যেন আরও প্রকট আকার ধারণ করে। সাধারণ যাত্রীরা এসব অনিয়মের প্রতিবাদ করলে তাদের শিকার হতে হয় হেনস্তার। ফলে অনেকে ভয়ে নীরবে সয়ে যান।
তবে এবার গণপরিবহনে এই অনিয়মের শিকার হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী জাফরুল্লাহ। তাকে অতিরিক্ত ভাড়া দিতে হয়েছে। এরই মধ্যে তিনি বিষয়টি সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরকে জানান। দলীয় কার্যালয়ে সড়কে এই নৈরাজ্য নিয়েও আলোচনা করেন তিনি। কাজী জাফরুল্লাহ বলেন, আমি দেখেছি যাত্রীদের অনেক দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। বিষয়টি সমাধানের জন্য মন্ত্রীকে জানিয়েছি।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফরুল্লাহ ঘটনার বিবরণ দিয়ে বলেন, মঙ্গলবার (৯ আগস্ট) মিরপুরের পূরবী সিনেমা হলের সামনে থেকে তিনি বাসে ওঠেন। আর বনানীর কাকলী মোড়ে নামেন। এজন্য তাকে ৩০ টাকা ভাড়া দিতে হয়েছে। এতে তিনি হোঁচট খেয়েছেন। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পূরবী থেকে কাকলী মোড় পর্যন্ত এ সড়কের দূরত্ব ৬ দশমিক ৮ কিলোমিটার। আর সরকার কর্তৃক নির্ধারিত সর্বোচ্চ আড়াই টাকা প্রতি কিলোমিটার। সে অনুযায়ী ভাড়া ১৭ টাকা। অবশ্য এর আগে থেকে আদায় করা হতো ২০ টাকা।
এদিকে মঙ্গলবার রাজধানীর বিভিন্ন রুটের বাসে অনিয়মের চিত্র দেখেন তিনি। কোনো বাসে ভাড়ার চার্ট নেই। রাজধানীর মোহাম্মদপুর শিয়া মসজিদ থেকে আব্দুল্লাহপুর রুটে আলিফ ও ভূঁইয়া পরিবহনের বাস চলাচল করে। মিরপুর থেকে যাত্রাবাড়ী রুটে শিকড় পরিবহনের বাস চলাচল করে। এছাড়াও আলিফ পরিবহনের বাস মিরপুর থেকে কমলাপুর এবং আয়াত মিরপুর থেকে রামপুরা পর্যন্ত চলাচল করে। কিন্তু এসব পরিবহনের বাসে কোনো ভাড়ার চার্ট দেখা যায়নি। ফলে যে যার মতো কাটছে ভাড়া। এতে ঠকছেন যাত্রীরা। তাদের সঙ্গে পরিবহন শ্রমিকদের বাকবিতণ্ডাও হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধিতে বাস ভাড়াও বৃদ্ধি করা হলেও সেটির প্রকৃত বাস্তবায়ন হচ্ছে না বলে অভিযোগ থাকলেও তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে মন্তব্য করেন অনেক যাত্রী। তবে এর বাস্তবতার প্রমাণ পেলেও আওয়ামীলীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফরুল্লাহ।