নতুন ছবি দিয়ে ইন্টারনেটে উত্তাপ ছড়ালেন অভিনেত্রী রুনা খান। এক বছর আগে ওজন কমিয়ে আলোচনায় আসেন তিনি। প্রতিনিয়ত নতুন ছবি মুক্তি পাচ্ছেন এই অভিনেত্রী।
সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে রুনা খান কিছু স্থিরচিত্র পোস্ট করেন। বললেন, এই ফটোশুটের পেছনের গল্প। রুনা বলেন, আমি ইনস্টাগ্রাম ব্যবহার করি। ইনস্টাগ্রামে দীপিকা, প্রিয়াঙ্কা, ক্যাটারিনা, কারিনা কাপুর, আলিয়া ভাটের ফটোশুটগুলি দেখুন। সেই দৃশ্য দ্বারা অনুপ্রাণিত একটি ফটোশুট।
টেলিভিশন নাটকে অভিনয়ের মাধ্যমে তার কর্মজীবন শুরু হয়। হালদা চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য তিনি শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেত্রীর জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন। এছাড়া ‘গহীন বালুচর’ ও ‘ছিটকিনি’ ছবিতে অভিনয় করে প্রশংসিত হয়েছেন তিনি। তার অভিনীত বেশ কয়েকটি সিনেমাও মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে।
রুনা খান বলেন, এই ফটোশুটের উদ্যোগ আমার নয়। অবশেষে যখন ফটোশুটের ব্যাপারটা চূড়ান্ত হল, তখন শুধু একটা জিনিস চাইলাম, মেকআপটা যেন আন্তর্জাতিক মানের হয়।
কারণ হিসেবে রুনা বলেন, বাংলাদেশের মেকআপে আলাদা জিনিস আছে, মোটা চোখের দোররা পরা হবে। চকচকে চোখ ভরা। পার্লার টাইপ মেকআপ বলা হয়। আমি দেখিয়েছি যে আমি দীপিকার লুক চাই, প্রিয়াঙ্কার নো মেকআপ লুক। আমি চোখের পাতা চাই। চেহারার পুরো ব্যাপারটা বুঝতে হবে। এই অনুরোধ ছিল.
তিনি আরও বলেন, ‘তুমি চাইলে প্রিয়াঙ্কা, দীপিকা ও ক্যাটরিনার মতো সবকিছু সম্ভব নয়। কারণ তারা আমাদের চেয়ে হাজার গুণ বেশি পেশাদার। তাদের কাজের ধরনও আমাদের থেকে অনেক এগিয়ে। তারপর দৃষ্টিভঙ্গি কাছাকাছি কিছু করার চেষ্টা. আন্তর্জাতিক মানের যতটা ধরা যায়।
এক যুগ আগে রুনা খানের ওজন ছিল ৫৬ কেজি। তিনি 2009 সালে বিয়ে করেন। পরের বছরই সন্তান রাজেশ্বরীর জন্ম হয়। একসময় রুনার ওজন 95 কেজি পৌঁছে যায়।
সন্তান জন্ম দেওয়ার এক বছর পর ২০১১ সাল থেকে রুনা তার ওজন কমানোর মিশন শুরু করেন। কিন্তু কোনোভাবেই তা করতে না পারলেও একপর্যায়ে ওজন বেড়ে দাঁড়ায় ১০৫ কেজি। ওজন কমানোর জন্য তিনি ধানমন্ডিতে বেশ কিছু জিম ও প্রশিক্ষকের শরণাপন্ন হন। তিনি সাঁতার কাটা শুরু করেন। যোগব্যায়াম এবং অ্যারোবিক্স ক্লাসেও নথিভুক্ত। স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া শুরু করুন।