বীমার টাকা উদ্ধারে দেশে বিদেশে নানা সময়ে নানা রকম ঘটনা ঘটে, তবে এবার বীমার টাকা পেতে খোদ পুলিশ হেফাজতে থাকা বাসে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হলো, তা আবার একটি কিংবা দুইটি নয়, ১২টা অত্যাধুনিক বাস পুলিশ হেফাজতে থাকা অবস্থায় পুড়িয়ে দেওয়া হলো। পুড়িয়ে দেওয়া বাসগুলো ২০০০ হাজার কোটি টাকা মানি লন্ডারিং মামলার সাথে সম্পর্কিত এমনটাই দাবী পুলিশের।
ফরিদপুরে ( Faridpur ) দুই হাজার কোটি টাকার মানি লন্ডারিং মামলায় জব্দ করা ১২টি বাসে আগুন দেওয়া হয়েছে বীমা কোম্পানির কাছ থেকে ক্ষতিপূরণ এবং ব্যাংক ( Bank ) ঋণ থেকে মুক্তি পেতে, পুলিশ জানিয়েছে। এ ঘটনায় তিনজনকে আটক করা হয়েছে।
সোমবার দুপুরে ( Monday afternoon ) ফরিদপুর পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও তদন্ত) জামাল পাশা এ তথ্য জানান। তিনি জানান, সকাল ( morning ) সাড়ে ৯টার দিকে গোয়ালচাঁটের হেলিপোর্ট বাজার থেকে তিনজনকে আটক করা হয়।
জামাল পাশা বলেন, বাস পোড়ানোর ঘটনায় জড়িত সন্দেহে তাদের আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদে আসামি জহুরুল ইসলাম ( Zahurul Islam ) জনি ও মোহাম্মদ আলী ( Mohammad Ali ) ঘটনার সঙ্গে সক্রিয়ভাবে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন। বিকেলে ( afternoon ) তাদের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে ১নং আমলী আদালতে পাঠানো হয়। মোহাম্মদ আলী ( Mohammad Ali ) সেখানে নাইট গার্ড হিসেবে কর্মরত ছিলেন বলেও সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়। গত ( Past ) ১২ই মার্চ রাত ( March night ) সোয়া ১টার ( ১টার ) দিকে বাসগুলোতে রহস্যজনক অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
মাত্র এক ঘণ্টায় ১২টি বাসে আগুন ধরে যায়। ঢাকার কাফরুল ( Kafrul Dhaka ) থানায় সিআইডির ( CID ) করা দুই হাজার কোটি টাকার অর্থ পাচারের মামলায় জব্দ করা বাসগুলো কোতোয়ালি থানার হেফাজতে ছিল। আব্দুল গাফফার ( Abdul Gaffar ) বাদী হয়ে মামলা করেন। ঘটনা তদন্তে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইমদাদুল হককে ( Imdadul Haque ) প্রধান করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে তদন্ত কমিটির সদস্য অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সুমন রঞ্জন কর ( Suman Ranjan Kar ) ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হেলাল উদ্দিন ( Helal Uddin ) উপস্থিত ছিলেন।
পুলিশি ( Police ) হেফাজতে থাকাবস্থায় বাসে আগুন লাগানোর এমন নজীরবিহীন ঘটনা চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে ফরিদপুর সহ গোটা দেশে।