খুলনায় কলেজ ছাত্রীর সাথে পিবিআই পরিদর্শকের খারাপ কাজ, মেডিকেল রিপোর্ট নিয়ে তোলপাড়

খুলনায় ( Khulna ) একজন পুলিশ কর্মকর্তা কর্তৃক কলেজ ( College police officer ) ছাত্রীর সাথে খারাপ কাজ করার মে ( May )ডিকেল রিপোর্ট (মে ( May )ডিকো-লিগ্যাল রিপোর্ট) নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। খারাপ কাজের ঘটনাকে ভিন্ন দিকে প্রবাহিত করার জন্য রিপোর্টে ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে ওই ভুক্তভোগী যুবতীকে খারাপ পাড়ার নারী বানানোর চেষ্টা চলছে। এই ঘটনায় ওই কলেজছাত্রী এবং তার পরিবার ভীত হয়ে পড়েছে। এই ঘটনা নিয়ে বিভিন্ন মহলে আলোচনা সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে।

জানা গেছে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সংক্রান্ত সমস্যা সমাধানের জন্য ওই কলেজছাত্রী গত ( Past ) ১০ মে ( May ) পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের ( Police Bureau Investigation ) (পিবিআই) পরিদর্শক মঞ্জুরুল হাসান মাসুদ ( Masood )ের ( Manjurul Hasan Masuder ) সঙ্গে যোগাযোগ করেন। কেউ একজন তার ছবি ফে’স/বুকে পোস্ট করে বাজে মন্তব্য করেছেন- এমন অভিযোগ করেছেন ওই কলেজছাত্রী। মাসুদ ( Masood ) তাকে পিবিআই খুলনা ( PBI Khulna ) কার্যালয়ে ডেকে ঘটনার বিবরণ শুনে বিষয়টি সমাধানের আশ্বাস দেন। পরে কলেজ ছাত্রীর সঙ্গে মোবাইল ও ইমোতে কথা বলেন মাসুদ ( Masood )।

গত ১৫ মে ছোট মির্জাপুরের একটি অফিসে তাকে শেষ বার খারাপ কাজ করা হয়। মাসুদের বিরুদ্ধে খুলনা থানায় মামলা হয়। মামলা নং ১৫ (তারিখ – ১৫.০৫.২২)। এরপর থেকে মাসুদ তার কর্মস্থলে অনুপস্থিত।

এদিকে, গত ৩০ মে খুলনা মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগের মেডিকেল রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘‘old tear present & there was no sign of recent, forceful, se*u*l int*rco*rse’। উল্লেখ থাকায় রিপোর্টের ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে ওই কলেজছাত্রীকে খারাপ পাড়ার কর্মী বলে প্রচারণা চালানো হচ্ছে। খুলনা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে পিবিআই পরিদর্শক মঞ্জুরুল হাসান মাসুদ বলেন, তার (মেয়েটির) সঙ্গে আগে থেকেই অনেকের শারী”রিক সম্পর্ক রয়েছে। এছাড়া মেয়েটিকে মির্জাপুরের ওই স্থানে ডেকে নিয়ে খারাপ কাজের কোনো ঘটনা ঘটেনি।

তবে মেডিকেল রিপোর্টে ফরেনসিক বিভাগের চিকিৎসক ডা. ফাহমিদা শবনম বলেন, প্রতিবেদনে বলা হয়েছে জোরপূর্বক খারাপ কাজের কোনো ঘটনা ঘটেনি। কারণ শারীরিক পরীক্ষায় এমন কোনো লক্ষণ নেই। যাইহোক, সম্মতি সহ মি”লন বা অনুরূপ ঘটনা হতে পারে। ওই তরুণীর জবানবন্দিতে ঘটনার বিস্তারিত বিবরণও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

অপরদিকে ওই কলেজ ছাত্রীকে হু”মকি দেওয়া হচ্ছে যে ওই দিন মেয়েটির কাছে অতিরিক্ত একসেট জামা ছিল এবং খুলনার আরেক পুলিশ কর্মকর্তা মীরানের সঙ্গে ষড়য”ন্ত্র করে পিবিআই পরিদর্শক মাসুদকে ফাঁ”সানো হয়েছে। ভুক্তভোগী ঐ কলেজ ছাত্রী তার মোবাইল ফোনে জানায়, তাকে তার মোবাইল ফোনে কল করা হয়েছিল এবং তার ফোনে রেকর্ড ছিল।

এছাড়া সেদিন তার কাছে একটি ছোট পার্স ছিল, যাতে টাকা ছাড়া আর কিছু রাখা যায় না। আর সে পুলিশ অফিসার মীরানকে চেনে না। তিনি বলেন, তাকে অসহায় পেয়ে খারাপ কাজ করা হয়েছে। এখন মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়া হচ্ছে।

পিবিআই, খুলনার পুলিশ সুপার সৈয়দ মুশফিকুর রহমান জানান, ঘটনার পর থেকে তিনি (মাসুদ) কাজে অনুপস্থিত আছেন। তাকে বরখাস্তের সুপারিশ করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, ঘটনার প্রধান অভিযুক্ত পি বি আই এর একজন সদস্য হওয়ায় এ ধরনের ঘটনাকে ভিন্ন দিকে প্রবাহিত করার বিষয়টি সামনে এসেছে। বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে এই ধরনের অপকর্ম করেছে ঐ পিবিআই সদস্য। ধারনা করা হচ্ছে ঐ কর্মকর্তা গা ঢাকা দেওয়ার৪ জন্য অফিসে অনুপস্থিত রয়েছে।