Thursday , November 14 2024
Breaking News
Home / Countrywide / খুলনার রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে বেড়ানো মেয়েটি অবশেষে পেল পরিবার

খুলনার রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে বেড়ানো মেয়েটি অবশেষে পেল পরিবার

খুলনার রাস্তায় একটি মানসিকভাবে বিপর্যস্ত কিশোরী মেয়ে এখানে সেখানে ঘুরে বেড়াচ্ছিল। এই খবরটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফে”সবুকে ভাইরাল হওয়ার পর অবশেষে মেয়েটি তার পরিবারকে খুজে পেল। খুলনার একটি স্বেচ্ছা সেবক দলের সদস্যরা মেয়েটিকে চিকিৎসার ব্যবস্থা করে এবং এরপর তার পরিবারের নিকট হস্তান্তর করেন।

শুক্রবার (২০ জানুয়ারি) খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাকে গ্রহণ করেন তার পরিবারের সদস্যরা।

এর আগে বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি) এক অচেনা মেয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। মানসিকভাবে বিপর্যস্ত মেয়েটি খুলনায় ঘোরাঘুরি করছিলেন। রাতে রূপসা ট্রাফিক মোড় এলাকা থেকে কয়েকজন স্বেচ্ছাসেবক মেয়েটিকে উদ্ধার করে। পরে তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার পরিবারের সদস্যরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ খবর জানতে পেরে মেয়েটিকে তাদের হেফাজতে নেয়। তাদের বাড়ি গাজীপুরের শ্রীনগরে।

সোনাডাঙ্গা মডেল থানার উপ-পরিদর্শক মোঃ আলী আকবর জানান, উই আর বাংলাদেশ নামে একটি ফেসবুক গ্রুপে কেউ একজন কমেন্ট করে মেয়েটির খোঁজ দেয়। পরে নগরীর রূপসা ট্রাফিক মোড় এলাকা থেকে তাকে উদ্ধার করে গ্রুপের অ্যাডমিন। খবর পেয়ে খুলনা অক্সিজেন ব্যাংকের স্বেচ্ছাসেবকরা রূপসা থেকে তাদের নিজস্ব অ্যাম্বুলেন্সে করে হাসপাতালে নিয়ে যান। মেয়েটি তখনও প্রলাপ বকছিল। সংগঠনটি ফে”সবুকের মাধ্যমে মেয়েটির বাবা-মা ও বান্ধবীর সঙ্গে যোগাযোগ করে।

মেয়েটির বাবা-মা জানান, হঠাৎ করে মেয়েকে হারিয়ে কী করবেন বুঝতে পারছিলেন না। কেন সে বাড়ি ছেড়েছে বা কী হয়েছে তা তারা জানেন না।

ডা. অমিত সাহা যিনি খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক হিসেবে রয়েছেন তিনি মেয়েটির বিষয়ে গণমাধ্যমকে বলেন, মেয়েটি মানসিকভাবে সুস্থ নন, তিনি মেন্টালি ট্রমার মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন। তবে তিনি মনে করেন, তাকে দ্রুত সুস্থ করতে পরিবারের সাপোর্ট দরকার এবং সেই সাথে যথাযথ চিকিৎসাও দরকার।

About bisso Jit

Check Also

উপদেষ্টা পরিষদেই বৈষম্য

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা পরিষদে আঞ্চলিক বৈষম্যের অভিযোগ উঠেছে। ২৪ সদস্যের এই পরিষদে ১৩ জনই চট্টগ্রাম …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *