খুলনার হাদিস পার্ক সংলগ্ন একটি আবাসিক হোটেলে মেয়ের সামনে এক গৃহবধূর সাথে গর্হিত কাজ করে গ্রেফতার হয়েছেন খুলনা মহানগর গোয়েন্দা পু’লিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) হিসেবে দায়িত্বে থাকা মো. জাহাঙ্গীর আলম। এই ঘটনায় তাকে সাময়িকভাবে বরখাস্তও করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় পর্যায় থেকে ব্যবস্থা নেওয়ারও উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র থেকে জানা গেছে।
আজ (বৃহস্পতিবার) অর্থাৎ ৯ ডিসেম্বর দুপুরের দিকে তাকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করেছেন খুলনা মেট্রোপলিটন পু’লিশ। গতকাল (বুধবার) অর্থাৎ ৮ ডিসেম্বর রাতের দিকে নগরীর হাদীস পার্ক সংলগ্ন সুন্দরবন হোটেলে ওই নারীর সাথে গর্হিত কাজ করার অভিযোগে ভিকটিম নিজেই বাদী হয়ে থা’নায় মামলা দায়ের করেন। ওই রাতেই অভিযুক্ত জাহাঙ্গীর আলমকে গ্রেপ্তার করার পর আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার (৭ ডিসেম্বর) বিকেলে বাগেরহাট জেলার মোংলা থেকে ১১ বছর বয়সী কন্যা ও এক ভাগ্নেকে নিয়ে ডাক্তার দেখানোর জন্য খুলনায় আসেন ওই নারী। তবে সিরিয়াল না পাওয়ায় রাতে থাকার জন্য নগরীর সুন্দরবন হোটেলে মেয়েকে নিয়ে ওই নারী থাকেন। রাত সোয়া ২টার দিকে হোটেল বয়কে নিয়ে পুলি’শ পরিচয়ে রুমে প্রবেশ করেন মো. জাহাঙ্গীর আলম। এরপর হু’মকি-ধামকি দিয়ে হোটেল বয়কে রুম থেকে তাড়িয়ে দেন। রাত ২টা ৩০ মিনিটের দিকে ভ’য়-ভী’তি দিয়ে জোর করে ওই নারীর সাথে খারাপ কাজ করেন জাহাঙ্গীর। এসময় ওই নারী ও তার মেয়ের চিৎকারে হোটেল বয় ও অন্যরা এগিয়ে আসলে জাহাঙ্গীর পা’লিয়ে যায়। পরে ভাগ্নে সবশুনে হোটেল মালিককে বিষয়টি জানালে সে এসে হোটেলের মেইন গেট তালাবদ্ধ করে রাখে এবং পুলি’শকে সংবাদ দেয়। পু’লিশ এসে ওই নারীকে উদ্ধার করে এবং আসা’মিকে আটক করে।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত জাহাঙ্গীরের জড়িত থাকার প্রাথমিক সত্যতা পেয়ে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। নিয়মিত মামলার পাশাপাশি তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের কথা জানিয়েছে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ।
মো. শাহজাহান শেখ যিনি খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার হিসেবে রয়েছেন তিনি বলেন, বাদীর অভিযোগ পাওয়ার পর অভিযুক্ত পুলিশকে গ্রেফ’তার করা হয় এবং এরপর তাকে জেলহাজতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাকে বিভাগীয় সিদ্ধান্ত মোতাবেক সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে পরবর্তী ধাপের বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ারও উদ্যোগ গ্রহন করা হয়েছে।
গতকাল (বুধবার) অর্থাৎ ৮ ডিসেম্বর দুপুরের দিকে ভিকটিমকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে পাঠিয়ে দেওয়ার পর সেখানে ভর্তি করা হয়। আজ (বৃহস্পতিবার) তাকে ওসিসি থেকে মেডিকেল পরীক্ষার পর ছেড়ে দেওয়া হয়।