Thursday , November 14 2024
Breaking News
Home / Countrywide / খুব বেশি সময় নেই, প্রস্তুত হচ্ছে: মির্জা ফখরুল

খুব বেশি সময় নেই, প্রস্তুত হচ্ছে: মির্জা ফখরুল

নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে, ততই রাজনৈতিক দলগুলো সরব হয়ে উঠছে। ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগকে ক্ষমতা থেকে সরে যাওয়ার দাবি তুলে আন্দোলন বেগবান করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বিএনপিসহ সরকার বিরোধী কয়েকটি রাজনৈতিক দল। এদিকে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সরকারকে উদ্দেশ্য করে বলেছেন, জনগণ একত্রিত হয়ে সোচ্চার হচ্ছে এই ফ্যাসিবাদী সরকারের বিরুদ্ধে, আর সেটাই হলো তাদের (সরকার) সবচেয়ে বড় ভয়। জনগণের এই ঐক্য আজ সরকারের পতন ত্বরান্বিত করবে।

সোমবার (২৯ আগস্ট) বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবে এক স্মরণসভায় তিনি এসব কথা বলেন। সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান (অংশ) কাজী জাফর আহমেদের সপ্তম মৃ”ত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে জাতীয় পার্টি এ স্মরণ সভার আয়োজন করে।

সারাদেশে বিএনপির চলমান কর্মসূচিতে জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে রাজপথে নেমে আসছে দাবি করে ফখরুল বলেন, জনগণ এই সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করছে। তাই সরকার আওয়ামী লীগের স”ন্ত্রা/সী বাহিনীকে বড় করেছে।

মির্জা ফখরুল আরও বলেন, আমরা বিশ্বাস করি সব রাজনৈতিক দলের ঐক্য তৈরি হবে। আমরাও সেই আহ্বান জানিয়েছি। রাজনৈতিক দলগুলোকে ঐক্যবদ্ধ করে আমরা এই দানব সরকারকে অপসারণ করে সত্যিকারের গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে পারব। এই সরকারের খুব বেশি সময় নেই, প্রস্তুত হচ্ছে জনগন।

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে আবারও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে দাবি করে দলটির মহাসচিব বলেন, আমরা বারবার বলেছি খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নিয়ে যেতে হবে। কিন্তু এই অনির্বাচিত সরকার খালেদা জিয়াকে তাদের প্রধান বাধা মনে করে, তাই তারা তাকে বিদেশে যেতে দিচ্ছে না। তাকে বিদেশে চিকিৎসার সুযোগ দিচ্ছে না।

মির্জা ফখরুল বলেন, জাতি আজ এক সংকটময় সময় পার করছে। গণতন্ত্রের জননী যিনি গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করেছেন। গতকাল আমাদের নেত্রী খালেদা জিয়া আবারও হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। আমরা দীর্ঘদিন ধরে তার মুক্তির জন্য লড়াই করছি।

কাজী জাফরকে স্মরণ করে মির্জা ফখরুল বলেন, সারাজীবন রাজনীতির মাঠে চড়াই-উতরাই পেরিয়েছেন। দেশের প্রতি ভালোবাসা, মানুষের প্রতি ভালোবাসা, সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করেছেন। আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে তিনি সবসময় সোচ্চার ছিলেন এবং লড়াই চালিয়েছিলেন, করেছেন সংগ্রাম। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত করতে, শোষণমুক্ত সমাজ গড়ে তুলতে, একটি উন্নত এবং সাজানোগোছানো রাষ্ট্র গঠন করার জন্য তিনি তার জীবনব্যাপী সংগ্রাম করে গেছেন। কখনো তিনি সরকারের একজন হয়ে, আবার কখনো বা সরকারের বাইরে কেউ হয়ে।

About bisso Jit

Check Also

উপদেষ্টা পরিষদেই বৈষম্য

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা পরিষদে আঞ্চলিক বৈষম্যের অভিযোগ উঠেছে। ২৪ সদস্যের এই পরিষদে ১৩ জনই চট্টগ্রাম …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *