সাধারণ মানুষের কাছে এখন অনেক বিনিয়োগের বিকল্প রয়েছে। স্টক মার্কেট থেকে মিউচুয়াল ফান্ড এমনকি ক্রিপ্টোকারেন্সি পর্যন্ত, অনেক লোক এখনও বিনিয়োগ করছে। কিন্তু এত কিছুর পরও বিনিয়োগের জন্য পোস্ট অফিসের জনপ্রিয়তা এখনো কমেনি। এর প্রধান কারণ পোস্ট অফিস বিনিয়োগকৃত অর্থের নিশ্চয়তা দেয়। এছাড়াও অনেক ব্যাংকের তুলনায়, পোস্ট অফিস উচ্চ সুদের হার চার্জ করে।
পোস্ট অফিসে এখানে যে স্কিমটির কথা বলা হচ্ছে তা একটি দুর্দান্ত স্কিম। এই স্কিমের নাম পোস্ট অফিস মাসিক ইনকাম স্কিম। এই স্কিমের অধীনে, একজন বিনিয়োগকারী প্রতি মাসে পোস্ট অফিস থেকে নিশ্চিত অর্থ পান। এ জন্য বিনিয়োগকারীকে এককালীন অর্থ বিনিয়োগ করতে হবে। এই স্কিমটি মাত্র ১০০০ টাকা দিয়ে শুরু করা যেতে পারে৷
পোস্ট অফিস মাসিক আয় প্রকল্পের সুবিধা হল যে বাজারের উত্থান-পতন এই স্কিমে আপনার বিনিয়োগকে প্রভাবিত করে না। ফলস্বরূপ, আপনার অর্থ সম্পূর্ণ নিরাপদ। এমআইএস অ্যাকাউন্টে একবারই বিনিয়োগ করা যায়। এর মেয়াদ পাঁচ বছর। পরবর্তীতে এই মেয়াদ আরও ৫ বছর বাড়ানো যেতে পারে।
কোনও ব্যক্তি একক ভাবে বা যৌথ ভাবে এই অ্যাকাউন্ট খুলতে পারেন। কোনও একক অ্যাকাউন্টে সর্বোচ্চ 9 লাখ টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগ করা যেতে পারে। এছাড়া যৌথ অ্যাকাউন্টে সর্বোচ্চ 15 লাখ টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগ করতে পারেন। পোস্ট অফিসের তথ্য জানাচ্ছে, এই অ্যাকাউন্ট খোলার পর থেকে ম্যাচিউরিটি হওয়া পর্যন্ত প্রতি মাসে সুদের টাকা বিনিয়োগকারীর অ্যাকাউন্টে দেওয়া হয়। এটিই আসলে গ্যারান্টেড ইনকাম।
তবে বিনিয়োগের এক মাস পর থেকেই এই টাকা পাওয়া যায়। যে কোনও ভারতীয় নাগরিক পোস্ট অফিসের এই মান্থলি ইনকাম স্কিমে বিনিয়োগ করতে পারেন। 1 জুলাই থেকে এই স্কিমে 7.4 শতাংশ হারে বার্ষিক সুদ পাওয়া যায়।
পোস্ট অফিস প্রকল্পের মেয়াদ ৫-১০ বছর। কিন্তু আপনি ১ বছর পূর্ণ হলেই টাকা তুলতে পারবেন। কিন্তু যদি কোনো ব্যক্তি ১ বছর থেকে ৩ বছরের মধ্যে উত্তোলন করেন তবে ২ শতাংশ কেটে নেওয়া হবে। অন্যদিকে, অ্যাকাউন্ট খোলার ৩ বছর পর মেয়াদপূর্তির আগে উত্তোলন করা হলে, জমার ১ শতাংশ কেটে নেওয়া হবে।