সম্প্রতি গত কয়েকদিন আগেই রাজধানী ঢাকায় নিজেদের প্রাইভেটকারের মধ্য থেকে উদ্ধার করা হয় শিক্ষক দম্পতি একেএম জিয়াউর রহমান ও তার স্ত্রী মাহমুদা আক্তারের মৃ’ত’দেহ। এ ঘটনার একদিন আগেই সন্ধ্যায় বাসার উদ্দেশে রওনা দিয়েছিলেন তারা। রাতে বাসায় না ফেরায় বিষয়টি পুলিশকে অবগত করে স্বজনরা।
পরবর্তীতে এ ঘটনায় একটি ”হ”ত্যা’ মামলা দায়ের করেন তারা। তবে এ মামলার কূলকিনারা হয়নি ২৫ দিনেও। এ ঘটনায় উল্লেখযোগ্য কোনো অগ্রগতি হয়নি বলে জানিয়েছে পুলিশ। এখন পর্যন্ত রহস্য উদঘাটন না হওয়ায় বাদী ও নিহতের পরিবার বিচার নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন।
জিয়াউর রহমানের বড় ভাই আতিকুর রহমান বলেন, ঘটনার শুরু থেকে কয়েকদিন পুলিশের তৎপরতা ছিল লক্ষণীয়। তবে এখন পুলিশের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা চেষ্টা করছি। কিছু অগ্রগতি আছে। ভিসেরার রিপোর্ট পেলে পর্যালোচনা করা হবে। ২৫ দিন হয়ে গেল আজও ভিসার রিপোর্ট আসেনি। এ কারণে পুলিশ কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারছে না। এতদিন হয়ে গেলেও আমার ছোট ভাই ও তার স্ত্রীর মৃ’ত্যুর’ কারণ জানতে পারছি না। যার কারণে আমরা ন্যায়বিচার পেতে খুবই শঙ্কার মধ্যে রয়েছি। ‘
গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান ডা. শফি মোহাইমেন বলেন, ভিসার রিপোর্ট আসতে সাধারণত তিন মাস সময় লাগে। তবে পুলিশ গুরুত্বপূর্ণ মামলা চাইলে সাত দিনের মধ্যে ভিসার রিপোর্ট আনা সম্ভব। পুলিশকে আমরা অনুরোধও করেছি, সেখানে আবেদন করার জন্য। আর ময়না’তদন্তের রিপোর্ট ভিসেরা রিপোর্ট ছাড়া সম্ভব নয়।
পুলিশ ও স্বজনরা জানান, ১৭ আগস্ট সকালে তারা স্কুলে যান এবং সন্ধ্যায় কাজ শেষে গাড়ি নিয়ে বের হয়ে বাড়ি ফেরেননি। ১৮ আগস্ট ভোরে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের দক্ষিণ খাইকুল এলাকা থেকে তাদের ম’র’দেহ উদ্ধার করা হয়।বিকালে নিহতের অবস্থা বেগতিক জানালে পুলিশ ম’য়না’তদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। তাদের ‘ময়না’তদন্ত শেষে ভিসেরা রিপোর্টের জন্য নি’হ’তদের কিছু নমুনা রাজধানী ঢাকার সিআইডিতে পাঠানো হয়েছে। কিন্তু ঘটনার ২৫ দিন পার হলেও তাদের ভিসেরা রিপোর্ট আসেনি। ভিসেরা রিপোর্ট না আসায় হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগও পোস্টমর্টেম রিপোর্ট দিতে পারছে না।
পুলিশ বলছে, ঘটনার পর থেকে তারা বিভিন্ন ধরনের তথ্য সংগ্রহের সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তবে তাদের মৃ’ত্যু’র সঠিক কারণ পাওয়া যায়নি। তাই তারা পূর্বে সংগৃহীত তথ্যের মাধ্যমে আবার দেখতে পায় যে কিছু বাদ গেছে কিনা। এ ছাড়া গাড়ি ও হ’তা’হত’দের উদ্ধারের স্থান থেকে ফু’টেজে তেমন কিছু পাওয়া যায়নি।
শিক্ষক দম্পতির মৃত্যুর কারণ জানা না গেলেও পরিকল্পিত ”হ”ত্যা”কা”ণ্ড বলে দাবি করছেন স্বজনরা। ঘটনার প্রায় দুই দিন পর নি’হ’ত জিয়াউর রহমানের বড় ভাই আতিকুর রহমান বাদী হয়ে মামলা করেন। সেখানে অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করা হয়েছে।
নি’হ’ত’ জিয়াউর রহমানের বড় ভাই আতিকুর রহমান বলেন, নতুন কিছু পাওয়া গেছে কিনা তা জানতে প্রতিদিনই পুলিশকে ফোন করছি।
তবে পুলিশের দাবি, এ ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটনে বিন্দুমাত্র অবহেলা করছেন না তারা। তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছেন তারা। খুব শীঘ্রই এ ঘটনার রহস্য ভেদ করতে পারবেন বলে আশাবাদী তারা।