স্বৈরাচারী সরকার পতনের পর জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ড. ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে নতুন উপদেষ্টা নিয়োগ নিয়ে তীব্র আলোচনা চলছে। সম্প্রতি তিন নতুন উপদেষ্টার নিয়োগের পর তাদের বিতর্কিত অতীত এবং রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা ঘিরে সামাজিক মাধ্যমে সমালোচনার ঝড় উঠেছে।
এই বিতর্ককে আরও উসকে দিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক এবং জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সারজিস আলম। রোববার সন্ধ্যায় নতুন উপদেষ্টারা শপথ নেয়ার পর সারজিস আলম ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাসে কটাক্ষ করে বলেন, “একটা বিভাগ থেকে ১৩ জন উপদেষ্টা হলেও উত্তরবঙ্গের কোনো জেলাকে গুরুত্ব দেয়া হয়নি। খুনি হাসিনার তেলবাজরাও আজ উপদেষ্টা পদে অধিষ্ঠিত।”
এই মন্তব্যের পরপরই নেটিজেনদের তীব্র প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা যায়। কমেন্টে গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব ইমরান মাহফুজ ক্ষোভ প্রকাশ করে লিখেন, “আন্দোলনের নারী বা ছাত্রনেতারা উপদেষ্টা হওয়ার মত সুযোগ পায়নি কেন? জনগণের ইচ্ছাকে অগ্রাহ্য করলে গণআন্দোলনের শক্তি হারিয়ে যাবে।”
বিশিষ্ট লেখক মোহাম্মদ সারওয়ার হোসেনও প্রশ্ন তোলেন, “উনারা কি সত্যিই জনগণের ভাষা বুঝতে পারছেন?”
রোববার সন্ধ্যায় বঙ্গভবনে ব্যবসায়ী সেখ বশির উদ্দিন, চলচ্চিত্র পরিচালক মোস্তফা সরয়ার ফারুকী এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলম শপথ নেন। তবে সামাজিক মাধ্যমে ফারুকীর পূর্ববর্তী সরকারপন্থী সংশ্লিষ্টতার ছবি এবং ব্যবসায়ী বশির উদ্দিনের রাজনৈতিক যোগাযোগের কারণে তাদের নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।