বিএনপি দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া তিনি দীর্ঘ সময় ধরে শারীরিক ভাবে নানা ধরনের জটিলতায় ভুগছেন। তার উন্নত চিকিৎসার জন্য সরকারের কাছে বেশ কয়েকবার আবেদন করেছেন তরা পরিবার এবং দল। তবে এই বিষয়ে কোন সুফল মেলেনি। তবে সম্প্রতি তার চিকিৎসার দাবি জানিয়ে সরকারের কাছে অনুরোধ করেছেন ১০০ নাগরিক।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশে চিকিৎসার অনুমতি দিতে সরকারের কাছে অনুরোধ করেছেন ১০০ নাগরিক। মঙ্গলবার গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে বলা হয়, ‘বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া গুরুতর অসুস্থ। তার অবস্থা এখন সংকটাপন্ন। এ অবস্থায় সরকারের কাছে সনির্বন্ধ অনুরোধ, সকল প্রকার প্রতিহিংসাপরায়ণতা, সংকীর্ণ দল ও ব্যক্তিস্বার্থ পরিহার করে, সম্পূর্ণ মানবিক কারণে জনগণের এই প্রিয় নেত্রীকে যত দ্রুত সম্ভব, অত্যাধুনিক চিকিৎসা নেওয়ার জন্য বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দিন।’
বিবৃতিতে আশঙ্কা করা হয়, ‘এ ক্ষেত্রে যেকোনো ধরনের বিলম্ব ও অজুহাত বড় বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে। যা কারও জন্য ভালো বার্তা বহন করবে না। আমরা প্রত্যাশা করি সরকারের মধ্যে কল্যাণ ও মঙ্গলবোধ জেগে উঠবে। তারা সত্যিকারের দায়িত্বশীলতার সঙ্গে শুভচেতনার পরিচয় দিয়ে সাবেক এ প্রধানমন্ত্রীর বিদেশযাত্রার ব্যবস্থা করবে।’
শত নাগরিকের পক্ষে বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন প্রফেসর ড. আনোয়ার উল্লাহ চৌধুরী, প্রফেসর ড. এস এম এ ফায়েজ, প্রফেসর ড. মাহবুব উল্লাহ, প্রফেসর জেড এন তাহমিদা বেগম, প্রফেসর ড. ওয়াকিল আহমেদ, প্রফেসর মনসুর মুসা, প্রফেসর আবদুল হাই শিকদার (কবি), প্রফেসর ডা. আবদুল কুদ্দুস, প্রফেসর ওবায়দুল ইসলাম, প্রফেসর ড. লুৎফুর রহমান, প্রফেসর আবদুর রহমান সিদ্দিকী, প্রফেসর ড. রেজাউল করিম, প্রফেসর ড. ইফতেখারুল আলম মাসুদ, প্রফেসর ড. মুজাদ্দেদী আলফেসানী, প্রফেসর ড. কামরুল আহসান, প্রফেসর ড. ফরহাদ হালিম ডোনার।
কয়েকদিন আগেও বেগম জিয়ার পরিবার থেকে তার চিকিৎসার জন্য বিদেসেহ যাওয়ার আবেদন করা হয়েছে। তবে এই প্রসঙ্গে আইনমন্ত্রী জানিয়েছেন তার বিদেশ যাওয়ার আবেদন আগেই নিষ্পত্তি হয়েছে। নতুন করে এই আবেদন গ্রহন করা সম্ভব নয়। এছাড়াও তিনি জানিয়েছেন সরকারী ভাবে একজন সাজা প্রাপ্ট আসামী হয়েও সর্বোচ্চ সেবা পাচ্ছেন।