দীর্ঘ দিন শারীরিক ভাবে নানা ধরনের জটিলতায় ভুগছেন বাংলাদেশের জাতীয়তাবাদী রাজনৈতিক দল বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। তবে জিয়া অরফানেজ ট্রাষ্ট দূর্নীতি মামলায় সাজা প্রাপ্ত আসামী হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার অনুমতি পাচ্ছেন না। তবে দল এবং বেগম জিয়ার পরিবার থেকে বেশ কয়েকবার সরকারের কাছে এই বিষয়ে আবেদন জানানো হয়েছে। তবে অনুমতি মেলেনি। এবার ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বাংলাদেশ সরকারের কাছে বেগম জিয়ার জন্য বিশেষ অনুরোধ রাখলেন।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিন চেয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ‘মানবিক অনুরোধ’ জানিয়েছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। রোববার (১৪ নভেম্বর) সন্ধ্যায় গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে তিনি এ অনুরোধ জানান। বিবৃতিতে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘আমি একজন চিকিৎসক হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং সরকারের প্রতি মানবিক অনুরোধ করছি অসুস্থ খালেদা জিয়াকে জামিন দেওয়ার জন্য। ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে নানা জটিল রোগে আ/ক্রা/ন্ত। তার স্বাস্থ্যের অবনতি হয়েছে। ডায়াবেটিস পুরাপুরি নিয়ন্ত্রণের বাইরে। রক্তের হিমোগ্লোবিন অনেক কমে গেছে। বহু বছর ধরে আর্থ্রাইটিস, দাঁত ও চোখের সমস্যায় ভুগছেন। কিডনির ক্রিয়েটিনিন বর্ডার লাইন ক্রস করেছে। শরীরে কিছু প্যারামিটার অস্বাভাবিক আসায় তাকে নিবিড় চিকিৎসাধীন থাকতে হচ্ছে। তার শরীর প্রচণ্ড দুর্বল। করো/না ভাই/রা/সেও আ/ক্রা/ন্ত হয়েছেন। পুনরায় হাসপাতালে ভর্তি ভালো লক্ষণ নয়।’
এ অবস্থায় খালেদা জিয়ার প্রয়োজন উন্মুক্ত আলো-বাতাসে চলাফেরা করা এবং নিজের ইচ্ছামতো চিকিৎসা নেওয়া। তার সবচেয়ে বড় প্রয়োজন জামিন। শারীরিক অবস্থা, বয়স, রাজনৈতিক এবং সামাজিক দিক বিবেচনা করে বেগম খালেদা জিয়াকে জামিন দেওয়া হবে সরকারের জন্য উত্তম কাজ,’— বলেন ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া দীর্ঘ দিন ধরেই অসুস্থ। স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য সবশেষ শনিবার (১৩ নভেম্বর) সন্ধ্যায় তাকে এভাকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডা. শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে একটি মেডিকেল বোর্ড তাকে দেখার পর হাসপাতালে ভর্তির সিদ্ধান্ত নেয়। প্রথমে কেবিনে রাখা হলেও রোববার (১৪ নভেম্বর) দুপুরের পর তাকে সিসিইউতে নেওয়া হয়। এর আগে, বসুন্ধরার এভারকেয়ার হাসপাতালে ২৬ দিন চিকিৎসা শেষে গত ৭ নভেম্বর গুলশানের বাসায় ফিরেছিলেন খালেদা জিয়া। এর আগে, ক/রো/না ভা/ই/রা/সে আ/ক্রা/ন্ত হওয়ার পর এ বছর এপ্রিল থেকে মে পর্যন্ত টানা ৫৪ দিন হাসপাতালে ছিলেন তিনি। খালেদা জিয়া বহু বছর ধরে আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস, চোখের সমস্যাসহ নানা জটিলতায় ভুগছেন।’
টানা তিন মেয়াদে ক্ষমতার বাইরে রয়েছেন বেগম জিয়া। অবশ্যে তিনি বেশ কয়েকবার বাংলাদেশের সরকারের দায়িত্ব পালন করেছেন। বর্তমান সময়ে তিনি সহ তার অসংখ্য নেতাকর্মীরা একাধিক মামলায় জর্জরিত। এমনকি অনেকেই বিভিন্ন মামলায় গ্রেফতার হয়ে কারাগারে বন্ধি জীবন-যাপন করছেন। তবে এই দলটি পুনরায় ক্ষমতা গ্রহনের জন্য নিরলস ভাবে কাজা করে যাচ্ছে।