Thursday , November 14 2024
Breaking News
Home / Countrywide / খালেদা-তারেক নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার যোগ্য নয়, কারণ তুলে ধরলেন ওবায়দুল কাদের

খালেদা-তারেক নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার যোগ্য নয়, কারণ তুলে ধরলেন ওবায়দুল কাদের

নির্বাচনে না যাওয়ার ঘোষণা দেওয়া রাজনৈতিক দল বিএনপি এবং ক্ষমতাসীন দল আওয়ামীলীগ পরস্পরের সমালোচনা নিয়ে বর্তমানে বেশ সরব হয়ে উঠেছে। এর কারণ অবশ্য আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন কে ঘিরে। এদিকে তারেক রহমান এবং খালেদা জিয়াকে নিয়ে বিএনপি বেশ সংকটময় পরিস্থিতি পার করছে কারন একদিকে বিএনপি বার বার নির্বাসন থেকে সরে থাকার কথা জানাচ্ছে অন্যদিকে তারা দুজন দণ্ডপ্রাপ্ত হয়ে রাজনীতি থেকে দূরে থাকা। এদিকে মির্জা ফখরুল সরব রয়েছেন ক্ষমতাসীন দলের সমালোচনা নিযে।

বৃহস্পতিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) নিজ বাসভবনে এক ব্রিফিংয়ে মির্জা ফখরুলের বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এসব কথা বলেন।

বর্তমানে খালেদা জিয়া, তার অনুপস্থিতিতে তারেক রহমান বিএনপির সর্বোচ্চ নেতা- বিএনপি মহাসচিবের এমন বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন, খালেদা জিয়া দুর্নীতির দায়ে সাজাপ্রাপ্ত হয়েছেন, আর যার নেতৃত্বে বিএনপি সুসংগঠিত বলে মির্জা ফখরুল দাবি করেন সেই তারেক রহমান তো দুর্নীতির বরপুত্র, দণ্ডিত পলাতক আসামি।

কাদের বলেন, যে (তারেক রহমান) রাজনীতি না করার শর্তে দেশ থেকে পালিয়েছে, এমন পলাতক ও পলায়নপ্রিয় আসামি দলের বিপদ দেখেও কীভাবে বিএনপির নেতা হতে পারে?

আওয়ামী লীগ একটি স”ন্ত্রাসী দল, বিএনপি মহাসচিবের বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ নয়, আসলে বিএনপিই দেশে-বিদেশে স্বীকৃত স”ন্ত্রাসী দল। কানাডার আদালতও বিএনপিকে স”ন্ত্রাসী দল হিসেবে চিহ্নিত করেছে।

আওয়ামী লীগ মাটি ও মানুষের সংগঠন এবং জনগণের আস্থার ঠিকানা বলে দাবি করেন ওবায়দুল কাদের। স”ন্ত্রাস ও সা”ম্প্রদায়িক অপশক্তির বিরুদ্ধে শেখ হাসিনা সরকার ও আওয়ামী লীগের অবস্থান অত্যন্ত কঠোর। যারা অসন্তুষ্ট এবং আন্দোলন ও নির্বাচনে ব্যর্থ হয় তাদের দ্বারা স”ন্ত্রাস করা হয়। যাদের জনকল্যাণের কোনো ইতিবাচক এজেন্ডা নেই তারা ক্ষমতায় আসার হাতিয়ার হিসেবে স”ন্ত্রাস-ষড়য’ন্ত্রকে বেছে নেয়। বিএনপিও তাই করছে।

সরকার জাতীয় নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী চায় না, বিএনপি নেতাদের বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে সেতুমন্ত্রী বলেন, বিএনপি আসলে নির্বাচনকে ভয় পায়। তারা শেখ হাসিনার জনপ্রিয়তায় ভীত। হেরে যাওয়ার ভয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে দ্বিধায় রয়েছে বিএনপি।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ কখনোই খালি মাঠে গোল দিতে চায় না। আওয়ামী লীগ প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নির্বাচন চায়। সরকার সব দলের অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনে বিশ্বাস করে। নির্বাচনে অংশগ্রহণের সকল দলের রাজনৈতিক অধিকার।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, এটা (নির্বাচনে অংশগ্রহণ) কোনো সুযোগ নয়, এটা রাজনৈতিক দলের অধিকার। কিন্তু পরাজয়ের আশ”ঙ্কায় ক্ষতিগ্রস্ত বিএনপি, তাই নির্বাচনে আসতে চায় না।

নির্বাচন কমিশন নিয়েও বিএনপি নেতারা নানা ধরণের ইঙ্গিতমূলক বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছে। আটকে করা এই ধরণের বিভিন্ন মন্তব্য প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, তারা নির্বাচন কমিশনকে বিতর্কিত করতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। নির্বাচন ব্যবস্থা যাতে ভুলুন্ঠিত ও প্রশ্নবিদ্ধ হয় সে লক্ষ্যে বিএনপিও তাদের অপতৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। জিটা কোনোভাবে গ্রহণযোগ্য নয়।

About bisso Jit

Check Also

উপদেষ্টা পরিষদেই বৈষম্য

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা পরিষদে আঞ্চলিক বৈষম্যের অভিযোগ উঠেছে। ২৪ সদস্যের এই পরিষদে ১৩ জনই চট্টগ্রাম …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *