বিগত অনেক বছর ধরে ক্ষমতার বাইরে রইলেও চলতি বছরের আগামী ১০ ডিসেম্বর থেকে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার কোথায় দেশ চলবে বলে জানিয়েছিলেন বিএনপির এক নেতা। আর এরপর থেকেই রীতিমতো সারা-দেশজুড়েই শুরু হয় ব্যাপক শোরগোল। এ মন্তব্যের আলোকে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতাকর্মীরা।
এদিকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম (এমপি) গত ২৯শে অক্টোবর ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন উপলক্ষে আশুলিয়ায় যৌথসভায় যোগ দিয়ে বলেন, আগামী ১০ই ডিসেম্বরে নাকি বিএনপি’র দের ঘোষণা আছে ১০ ডিসেম্বরের পরে এই বাংলাদেশ নাকি চলবে খালেদা জিয়ার নির্দেশে।
খালেদা জিয়ার নির্দেশে যে এই বাংলাদেশ চলবে, এই খালেদা জিয়া তো আছে জেলে খানায় সে হলো একটা চুন্নি। এতিমদের কাছ থেকে টাকা চুরির দায়ে তাকে জেলে যেতে হয়েছে।
গতকাল রাতে নবীনগর জয় রেস্টুরেন্টের সম্মেলন কক্ষে আশুলিয়া থানা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
এ সময় তিনি আরও বলেন, এই সব কালকাঠির নাড়াইতেছে যারা অঙ্গীকার করে বাংলাদেশ ছেড়েছে জীবনে রাজনীতি করবে না। আমাদের দেশের নেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার জন্য গ্রেনেড হামলার পরিকল্পনাকারী তারেক রহমানকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে সেটাই করছে বিএনপি। এমন দুঃস্বপ্ন দেখে, এই দুঃস্বপ্ন যে স্বপ্ন, তা প্রমাণ করতে মাত্র ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের একটা সম্মেলন করলাম। আর ভাববেন না যে তাদের স্বপ্ন ভেঙ্গে গেছে।
এই ঢাকা জেলায় আমরা ৭টি সাংগঠনিক থানা। আমি একটি জেলা সম্মেলন করছি, একটি শোডাউন করছি এবং এর পর আপনারা এই জেলা আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে ৭টি সাংগঠনিক থানায় ৭টি জনসভা করা হবে।
এদিকে আগামী দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বর্তমান ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারকে ক্ষমতা থেকে হটাতে নানা ষড়যন্ত্রের অভিযোগ উঠেছে বিএনপির বিরুদ্ধে। আর সেহেতু সবাইকে সজাগ থাকার আহবান আওয়ামী লীগের।