বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার স্থায়ী মুক্তি ও বিদেশে চিকিৎসার জন্য পরিবারের পক্ষ থেকে করা আবেদন আবারও নাকচ করে দিয়েছে আইন মন্ত্রণালয়। সোমবার (১৮ মার্চ) মন্ত্রণালয় থেকে এ তথ্য জানানো হয়।
এর আগে বেগম খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেওয়ার অনুমতি চেয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেছে তার পরিবার। একই সঙ্গে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর সাজা স্থগিত করে স্থায়ী মুক্তির আবেদন করা হয়েছে।
গত ৬ মার্চ খালেদা জিয়ার একান্ত সচিব এবিএম সাত্তার পরিবারের পক্ষ থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদনপত্রটি পৌঁছে দেন। তিনি বলেন, আবেদনে ম্যাডামের স্থায়ী মুক্তি ও বিদেশে চিকিৎসার অনুমতি চাওয়া হয়। ম্যাডামের ছোট ভাই (শামীম ইস্কাদার) অসুস্থ থাকায় চিঠিটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পৌঁছে দিয়েছি। আবেদনে শামীম ইস্কাদার বলেন, বেগম জিয়ার জীবন খুবই বিপজ্জনক। খালেদা জিয়ার জীবন বাঁচাতে দেশের বাইরে চিকিৎসা দরকার।
রোববার (১৭ মার্চ) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে আইন মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠানো হয় বলে জানা গেছে। সোমবার ওই চিঠির জবাব দেয় আইন মন্ত্রণালয়। গত বছরের ১২ সেপ্টেম্বর খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ ছয় মাস বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। সেই মেয়াদ ২৪ মার্চ শেষ হবে।
প্রসঙ্গত, গত বছরের অক্টোবরে পরিবারের পক্ষে খালেদা জিয়ার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেন। পরে এ বিষয়ে আইনি মতামত চেয়ে আবেদনটি আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এরপর মন্ত্রণালয় বলে, ‘বিদেশ যেতে হলে আগে কারাগারে গিয়ে আদালতে আবেদন করতে হবে। ধারা ৪০১ অনুযায়ী, কোনো সরকার যদি কোনো নির্বাহী আদেশ জারি করে তাহলে তা আদালতে চ্যালেঞ্জ করা যাবে না। সেক্ষেত্রে তাকে আবারও জেলে যেতে হবে। এরপর আদালতে আবেদন করতে হবে।