বিএনপির আইন বিষয়ক সম্পাদক বলেছেন, আইনমন্ত্রী বলেছেন, বেগম খালেদা জিয়া (উনার ভাষায়) শেখ হাসিনার কৃপায় আছেন। সেটাই যদি হয়ে থাকে তাহলে এখানে আদালতের কোনো সংশ্লিষ্ঠতা নেই।
রোববার (২৪ সেপ্টেম্বর) সকালে সুপ্রিম কোর্টে কায়সার কামাল সাংবাদিকদের বলেন, সরকার কার্যকর কোনো ব্যবস্থা না নিলে দেশের মানুষ ধরে নেবে যে, নির্বাহী প্রধান শেখ হাসিনা ও আইনমন্ত্রী। দুর্ভাগ্যজনক খবর শোনার অপেক্ষায়। এটা দিবালোকের মতো পরিষ্কার যে, জাতীয় নেত্রী খালেদা জিয়ার মেডিকেল বোর্ড ইতোমধ্যে তার শারীরিক অবস্থার কথা জানিয়েছে। বাংলাদেশে তার চিকিৎসা আর সম্ভব নয়।
তিনি বলেন, মৃত্যুর দ্বারপ্রান্তে থাকা একজন অসুস্থ রোগীকে উপহাস করা হচ্ছে। জাতির সাথে তামাশা করা হচ্ছে। সব কিছু জানার পর আবারও আবেদন করতে বলা হচ্ছে। আবেদন করতে হবে। আইনমন্ত্রী কেন বারবার আবেদনের বিষয়টি সামনে আনছেন তা একটি তামাশা ছাড়া আর কিছুই নয়।
বিএনপির এই আইনজীবী বলেন, আন্তর্জাতিক আইন এবং দেশের সংবিধানের ১৫ ও ৩২ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী বেগম জিয়া তার জীবন বাঁচাতে চিকিৎসার দাবিদার। সবকিছু বিবেচনায় নিয়ে সরকার স্বয়ংক্রিয়ভাবে দেশের স্বার্থে এবং জনগণের স্বার্থে তাদের জীবন বাঁচাতে বিদেশে চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে পারে।
কায়সার কামাল বলেন, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক কোনো দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা ঘটলে তাদের ছাড়বে না। কারণ তাদের আন্তর্জাতিক দায়িত্ব এবং সাংবিধানিকভাবে অভ্যন্তরীণ দায়িত্ব রয়েছে। এবং এক পর্যায়ে তাদের জবাবদিহি করা হবে।
তিনি বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার পরিবারের পক্ষ থেকে প্রতিবারই বাড়ানোর অনুরোধ লেখা হয় উন্নত দেশে উন্নত চিকিৎসা ও বিশেষায়িত চিকিৎসার সুযোগ দেওয়ার জন্য। এছাড়া বিএনপির পক্ষ থেকে বারবার বলা হচ্ছে।
কায়সার কামাল বলেন, আ স ম আবদুর রব দোষী সাব্যস্ত হলেও তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান স্যার বিদেশে পাঠিয়েছিলেন। তখন আর আবেদন করার দরকার ছিল না। স্বতঃস্ফূর্তভাবে অনুপ্রাণিত হয়ে তিনি রবকে জার্মানিতে পাঠান।