বিদেশে থাকা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে একজন শিশু মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব এবং বর্ষীয়ান নেতা মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি আরো বলেন, গনতন্ত্রের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া শুধু একজন নেত্রী নন, তিনি একজন মুক্তিযোদ্ধা। পাকিস্তানি বাহি’নীর হাতে সে সময় তিনি ধরা পড়ে ব’ন্দি হয়েছিলেন। বর্তমান সময়ে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান আরেকজন মুক্তিযোদ্ধা, তিনি ছিলেন একজন শিশু মুক্তিযোদ্ধা। কারন সেই সময়ে তিনি তার মায়ের সঙ্গে জেলে ছিলেন।
আজ (শনিবার) অর্থাৎ ১১ ডিসেম্বর দুপুরের দিকে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে চিকিৎসার দাবিতে ন্যাশনাল পিপলস পার্টি (এনপিপি) আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, এদেশের জনগণ বিশ্বাস করে, বিএনপির যে রাজনীতি, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের যে আদর্শ, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া যে পতাকা তুলে ধরেছেন তা বাংলাদেশের জনগণের রাজনীতি। মানুষ বিএনপিকে ভালোবাসে একটিমাত্র কারণে বিএনপি এ দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের কথা বলেন। বিএনপি দেশের গণতন্ত্রের কথা বলেন।
তিনি বলেন, তারেক রহমানের নেতৃত্বে দল সুসংঘটিত হচ্ছে। সুতরাং ওই চিন্তা করে কোনো লাভ নাই। প্রতিদিন প্রতি মুহূর্তে শতশত জিয়াউর রহমান তৈরি হচ্ছে।
এনপিপির চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদের সভাপতিত্বে ও মহাসচিব মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফার সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, মহাসচিব আহসান হাবিব লিংকন, বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সৈয়দ এহসানুল হুদা ঢাকা উত্তর মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক আমানউল্লাহ আমান, দক্ষিণের আহ্বায়ক আব্দুস সালাম, গণঅধিকার পরিষদের সদস্য সচিব মনিরুল হক নূর প্রমুখ।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বেগম জিয়ার চিকিৎসা এবং তার অবিলম্বে মুক্তির দাবিতে রাস্তায় নেমেছেন দলের নেতাকর্মীদের নিয়ে। তিনি খালেদা জিয়ার অবিলম্বে মুক্তি দাবি নিয়ে বলেন, খালেদা জিয়াকে ইচ্ছা করলে সরকার বিদেশে পাঠিয়ে তার চিকিৎসা করানোর সুযোগ করে দিতে পারেন। অনেক বড় অপরাধীরাও বর্তমানে জামিন নিয়েও দেশ বিদেশ ঘুরে বেড়ায়।