গত রবিবার (২৬ জুন) সকাল ৬ টার দিকে জনসাধারণের জন্য খুলে দেয়া হয় স্বপ্নের পদ্মাসেতু। তবে এদিন পদ্মাসেতুতে গিয়ে নানা অনাকাঙ্খিত কাণ্ড ঘটিয়ে রীতিমতো সংবাদ মাধ্যমের শিরোনামে এসেছেন অনেকেই। আর তাদের মধ্যে অন্যতম একজন মো, বায়েজিদ। পদ্মাসেতুর নাট-বল্টু খুলে টিকটক ভিডিও বানানোর আপভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছেন তিনি।
এদিকে নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালেদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, এবার পদ্মা সেতুর নাট-বোল্ট খুলে নেয়া বায়েজিদ বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার অনুসারী।
বুধবার (২৯ জুন) সিরডাপ মিলনায়তনে সম্প্রীতি বাংলাদেশ আয়োজিত ‘পদ্মা সেতু: সম্প্রীতির পথে অগ্রগতি’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, “একজন নেত্রী বলেছিলেন পদ্মা সেতু জোড়া তালি দিয়ে বানানো হচ্ছে, আপনারা তাতে উঠবেন না।” সেটা প্রমাণ করতেই তার এক অনুসারী পদ্মা সেতুর নাট-বল্টু খুলে ফেলেন। অসুস্থ রাজনৈতিক নেতৃত্বের কারণে তারা এমনটা করতে পারে। পদ্মা সেতুর নাট-বল্টু অলংকার। গয়না যেমন নারীর সৌন্দর্য। কেউ নারীর গয়না খুলে ফেলতে চাইলে তাকে আমরা ছিনতাইকারী বলি। পদ্মার নাট-বল্টু খুলে ছিনতাইকারীর মতো কাজ করে। তবে আমরা আমাদের সৌন্দর্য নষ্ট করতে পারি না।
তিনি বলেন, ‘পদ্মা সেতুর মাধ্যমে বিশ্বে বাংলাদেশ দিন দিন পরিচিত হচ্ছে। বর্তমানে বাংলাদেশে পদ্মা সেতুর চেয়েও বড় প্রকল্প চলছে। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র। যার চারগুণ বেশি বিনিয়োগ হয়েছে পদ্মা সেতু থেকে। মাতৃ বাড়ি বিদ্যুৎকেন্দ্রে পদ্মা থেকেও বেশি বিনিয়োগ হচ্ছে। পায়রা সমুদ্রবন্দর হয়েছে। এসব নিয়ে তেমন আলোচনা হয় না। পদ্মা সেতু নিয়ে অনেক ষড়যন্ত্র হয়েছে। ডাঃ মোহাম্মদ ইউনুস ষড়যন্ত্রের মূল পরিকল্পনাকারী ছিলেন। পরে তার সঙ্গে যোগ দেন খালেদা জিয়া। তারা বাংলাদেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করতে চেয়েছিল। ‘
তবে শত বাধা-প্রতিবন্ধকতা পেরিয়ে অবশেষে নিজস্ব অর্থায়নে স্বপ্নের পদ্মাসেতু নির্মান করে ভিন্ন এক ইতিহাস রচনা করেছেন জননেত্রী শেখ হাসিনা। আর এরই মাধ্যমে উন্নয়নের দিক দিয়ে আরও এক ধাপ এগিয়ে বাংলাদেশ। আর এই উন্নয়নের ধারা অব্যহত রেখেই কাজ করে যাচ্ছে সরকার।