গতকাল (মঙ্গলবার) অর্থাৎ ২৩ নভেম্বর রাত ১১টা ১৫ মিনিটের দিকে বিএনপি সভানেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার কেবিন ব্লকের সম্মুখে দাঁড়িয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর যিনি বিএনপি মহাসচিব তিনি সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন এবং খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে জানান। তিনি বলেন, গত মঙ্গলবার সন্ধ্যার দিকে হাসপাতালের সিসিইউতে চিকিৎসা অবস্থায় থাকা খালেদা জিয়ার শরীরের হিমোগ্লোবিনের মাত্রা কমে যায়। সেই সময় চিকিৎসকরা তার শারীরে রক্ত দেন এবং এরপর তার শরীরিক অবস্থা স্বাভাবিক অবস্থায় যায়। কিছু সময় আগে তিনি নিজেই পায়ে হেঁটে গিয়ে ওয়াশরুম ব্যবহার করেছেন।
এর আগে, মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা নিয়ে দলটির নেতাকর্মীদের মধ্যে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়। এ পরিস্থিতিতে নানা ধরনের কথা ছড়িয়ে পড়ে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে কয়েকজন নেতাও বসুন্ধরার এভারকেয়ার হাসপাতালে তার প্রকৃত অবস্থা জানতে চলে আসেন। তবে নিয়মিত পরিদর্শনে এদিন রাত ১০টার দিকে হাসপাতালে আসেন বিএনপি মহাসচিব।
তিনি আরো বলেন, আমি প্রায় এক ঘণ্টা ছিলাম ম্যাডামের সিসিইউতে। সেখানে ডা. এফএম সিদ্দিকীসহ অন্য চিকিৎসকরা আছেন। বিকেলের দিকে ম্যাডামের হিমোগ্লোবিন কমে যাওয়ায় শরীরের অবস্থা ফ্লাকচুয়েট হয়েছিল। পরে উনাকে র’ক্ত দেওয়া হয়। এখন আগের অবস্থায় আছেন তিনি।
আমান উল্লাহ আমান যিনি বিএনপির ঢাকা মহানগর (উত্তর) আহ্বায়ক হিসেবে রয়েছেন তিনি বলেন, ম্যাডামের শারীরিক অবস্থা তেমন একটা ভালো নয়। তার এই সময় উন্নত চিকিৎসার প্রয়োজন। বিএনপির মহাসচিব গতকাল রাতের দিকে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলার সময় বলেন, ম্যাডামকে বিদেশে নিয়ে উন্নত চিকিৎসা ছাড়া অন্য কোনো বিকল্প নেই। দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থায় তার শারীরিক অবস্থার উন্নতি হচ্ছে না। দেশে চিকিৎসা দিয়ে তাঁকে বাঁচানো সম্ভব নয়।