এভারকেয়ার হাসপাতালের ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটের (সিসিইউ) সেটআপের কেবিনে অসুস্থ খালেদা জিয়াকে চিকিৎসকদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। সকালে তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক এ জেডএম জাহিদ হোসেন গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান।
বললেন, ‘ম্যাডাম খুব অসুস্থ। তার অবস্থার অবনতি হলে শুক্রবার তাকে ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে নিয়ে যাওয়া হয়।
বিকেলে শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল হলে তাকে কেবিনে ফিরিয়ে আনা হয়। এখন তিনি কেবিন সিসিইউ সেটআপে চিকিৎসকদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে রয়েছেন।’
৭৮ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে হৃদরোগ ও ডায়াবেটিসসহ লিভার, ফুসফুস, কিডনির জটিলতায় ভুগছিলেন। অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে ১৯ সদস্যের মেডিকেল বোর্ড খালেদা জিয়াকে চিকিৎসা দিচ্ছে।
গত ৯ আগস্ট গুলশানে ফিরোজার বাসায় গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে মেডিকেল বোর্ডের সিদ্ধান্তে তাকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
উত্তরার আবদুল্লাহপুরে দলীয় সমাবেশে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর যত দ্রুত সম্ভব খালেদা জিয়াকে বিদেশে পাঠানোর ব্যবস্থা নিতে সরকারের প্রতি দাবি জানিয়েছেন। তিনি বলেন, “আজ যখন তার (খালেদা জিয়া) জীবন-মৃ/ত্যুর বিষয়… তাকে আটক করা হয়েছে। বেগম খালেদা জিয়া শুধু বন্দী নন, তিনি এদেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলনের এক নম্বর নেত্রী।
তিনি একবার নয়, তিনবার প্রধানমন্ত্রী, দুইবার বিরোধীদলীয় নেতা হয়েছেন। এখন কারাগার থেকেও এই অসুস্থ অবস্থায় এই ফ্যাসিবাদী সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই করছেন। আজ তারা এই নেত্রীকে বন্দী করে মৃ/ত্যুর মুখে ঠেলে দিচ্ছে।
ফখরুল বলেন, আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই, জাতীয় নেতাকে যথাযথ চিকিৎসা না দিলে, বিদেশে না পাঠানো হলে তার অবস্থার আরও অবনতি হতে পারে।
খালেদা জিয়ার জন্য মেডিকেল বোর্ড তাদের প্রতিবেদনে অবিলম্বে তাকে লিভার প্রতিস্থাপনের জন্য বিদেশে উন্নত চিকিৎসা কেন্দ্রে পাঠানোর সুপারিশ করেছে।
তারা বলেন, ম্যাডামের লিভার ট্রান্সপ্লান্ট জরুরি হয়ে পড়েছে। এজন্য তাকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বিদেশে উন্নত মাল্টি-ডিসিপ্লিনারি সেন্টারে পাঠানো দরকার।
সরকারের নির্বাহী আদেশে খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিত এবং তার মুক্তির শর্ত বিদেশে চিকিৎসা নিষিদ্ধ হওয়ায় খালেদা জিয়াকে বিদেশে পাঠানো যাবে না।