আগামি ফেব্রুয়ারী মাসের মাঝামাঝি বর্তমান নির্বাচন কমিশনের মেয়াদ শেষ হতে যাচ্ছে, এই নির্বাচন কমিশন বিদায় নেওয়ার পর নতুন নির্বাচন কমিশন গঠিত হবে। তাই বর্তমান এই নির্বাচন কমিশন সারা দেশে অসমাপ্ত নির্বাচন শেষ করার জন্য কাজ করে যাচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় অন্যান্য ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচণের মতো এবার নোয়াখালীর সদর ও কবিরহাট উপজেলার ১৬টি ইউনিয়ন পরিষদে নির্বাচন অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে। কিন্তু এই নির্বাচনে কয়েকটি ব্যালটের উপর লেখা নিয়ে শুরু হয়েছে আলোচনা। যেটা নিয়ে ঐ এলাকার মানুষের মাঝে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
নির্বাচন চলাকালীন সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ভোটের ৩টি ব্যালট পেপার ভাই’রাল হয়। যাতে বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি চেয়ে লেখা ও সিল মা’রা ছিল। রোববার (২৬ ডিসেম্বর) বিকেল ৩টার দিকে এমন তিনটি ব্যালট পেপারের ছবি এসে পৌঁছায় সংবাদমাধ্যম কর্মীদের কাছে।
জানা গেছে, সকাল ৮টা থেকে জেলার কবিরহাট উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের ৬৬টি কেন্দ্রে একযোগে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। সকাল থেকে ভোটারদের ব্যাপক উপস্থিতিতে চলে ভোটগ্রহণ। প্রতিটি কেন্দ্রে ভোটারদের উপস্থিতি ছিল লক্ষণীয়।
বিকেলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চেয়ারম্যান প্রার্থীদের ৩টি ব্যালট পেপার ভাইরাল হয় যার মধ্যে সুন্দলপুর ইউনিয়নের একটিতে লেখা ছিল ‘খালেদা জিয়ার মুক্তি চাই’ নরোত্তমপুর ইউনিয়নের দ্বিতীয়টিতে ছিল ‘বেগম জিয়ার মুক্তি চাই’ এবং তৃতীয়টিতে কবিরহাট উপজেলা ছাত্রদলের একটি সিলে লেখা ছিল ‘খালেদা জিয়ার মুক্তি চাই’।
অ্যাডভোকেট আবদুর রহমান যিনি জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন তিনি এই ঘটনার বিষয়ে বলেন, বেগম জিয়া বর্তমান সময়ে হাসপাতালে ভর্তি আছেন, তাই তার মুক্তির দাবি তুলে দেশজুড়ে বিএনপির যারা নিবেদিত প্রান নেতাকর্মী তারা আন্দোলনে নেমেছেন। খুব উৎসাহী বা আবেগপ্রবণ বিএনপির মুক্তিকামী কোনো নেতাকর্মী এ ধরনের লেখা ব্যালটের ওপর লিখে থাকতে পারে। শুধু এখানকার ঘটনা এটি নয় এর আগেও বেশ কতগুলো ভোটকেন্দ্রে নির্বাচনের সময় এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে।