বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার প্যারোলে মুক্ত হয়ে বর্তমানে কারাগারের বাইরে রয়েছেন। তিনি বিশেষ বিবেচনায় বাসায় থাকলেও তার উন্নত চিকিত্সার জন্য বিদেশে যাওয়ার বিষয়টি আইনি জটিলতায় আটকে রয়েছে। তার বেশ কয়েক দফায় নির্বাহী আদেশে মুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। ফের তার মুক্তির মেয়াদ বাড়ানোর চেষ্টা করছেন তার আপনজনেরা। এ বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন খালেদা জিয়ার ছোট বোন সেলিমা রহমান।
খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিত ও মুক্তির মেয়াদ বাড়ানোর আবেদনের প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়েছেন তার বোন সেলিমা ইসলাম। তিনি বলেন, বেগম জিয়ার মুক্তির মেয়াদ বাড়ানোর জন্য পরিবারের পক্ষ থেকে আমরা আবেদন তৈরি করছি। তিনি (খালেদা জিয়া) খুবই অসুস্থ, চিকিৎসার জন্য তাকে বিদেশে নিয়ে যাওয়া দরকার।
শনিবার (১০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে খালেদা জিয়ার বোন সেলিমা ইসলাম এ তথ্য জানান। এর আগে সকালে এক অনুষ্ঠানে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, পরিবারের পক্ষ থেকে আবেদন করলে খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিত এবং মুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হবে।
তিনি বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার শর্তসাপেক্ষে মুক্তির মেয়াদ ২৪ সেপ্টেম্বর শেষ হবে। পরিবারের পক্ষ থেকে মুক্তির মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন সরকার বিবেচনা করবে।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে দুর্নীতির মামলায় সাজা পেয়ে কারাগারে যান খালেদা জিয়া। দেশে করোনা মহামারী শুরু হওয়ার পর পরিবারের অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে সরকার ২০২০ সালের ২৫ মার্চ নির্বাহী আদেশে খালেদা জিয়াকে সাময়িক মুক্তি দেয়। বর্তমানে নিজ বাসায় অবস্থান করছেন বিএনপি চেয়ারপারসন।
এদিকে বর্তমান সময়ে বিএনপির ভেতর থেকে খালেদা জিয়ার মুক্তি নিয়ে কোনো স্পষ্ট আন্দোলনের কথা বলা হচ্ছে না। বিএনপি বর্তমান সময়ে যে ইস্যু নিয়ে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে, সেটার মুখ্য বিষয় হলো দ্রব্য মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদ সহ নিরপেক্ষ ও নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন এর দাবি। তবে এই বিষয়টি অনেকটা কৌশলগত হতে পারে। কারন নির্দলীয় সরকারের অধীনে যদি সুস্ঠু নির্বাচন দেওয়া হয় তাহলে বিএনপি নির্বাচনে জয়ী হবে এমনটাই আশা বিএনপির। তখন খালেদা জিয়া মুক্ত করা কিংবা তারেক রহমানকে দেশে আনতে কোনো বাধা থাকবে না।