Friday , September 20 2024
Breaking News
Home / Countrywide / খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিতে আদালতে কানাডার সেই দুই পুলিশ

খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিতে আদালতে কানাডার সেই দুই পুলিশ

নাইকো দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ আটজনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিতে আদালতে হাজির হয়েছেন কানাডা ও রয়্যাল কানাডিয়ান মাউন্টেড পুলিশ সদস্য কেবিন ডুগান ও লয়েড শোয়েপ।

সোমবার (৩০ অক্টোবর) সকালে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের ৯ নম্বর (অস্থায়ী) বিচারক শেখ হাফিজুর রহমানের আদালতে তাদের হাজির করা হয়। সাক্ষ্যগ্রহণ চলছে।

এর আগে বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর) ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের ৯ নম্বর (অস্থায়ী) বিচারক শেখ হাফিজুর রহমান ৩০ অক্টোবর তাদের আদালতে হাজির হয়ে সাক্ষ্য দিতে সমন জারি করেন। এদিন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) তৎকালীন সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ মাহবুবুল আলমের জিজ্ঞাসাবাদের দিন ধার্য ছিল। খালেদা জিয়ার পক্ষে তার আইনজীবী হাজিরা দাখিল করেন।

এরপর খালেদা জিয়াসহ অন্য আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন তাদের আইনজীবীরা। জেরা শেষ হওয়ায় পরবর্তী শুনানির জন্য আগামী ৩০ অক্টোবর দিন ধার্য করেন আদালত।

গত ১৭ সেপ্টেম্বর খালেদা জিয়াসহ আটজনের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (এফবিআই) একজন এবং কানাডিয়ান রয়্যাল মাউন্টেড পুলিশের দুজনকে সাক্ষ্য দেওয়ার অনুমতি দেন আদালত। তারা হলেন মার্কিন ফেডারেল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশনের অবসরপ্রাপ্ত তত্ত্বাবধায়ক বিশেষ এজেন্ট ডেব্রা লাপেরিবট গ্রিফিথ, কানাডিয়ান এবং রয়্যাল কানাডিয়ান মাউন্টেড পুলিশ সদস্য কেভিন ডুগান এবং লয়েড শোয়েপ।

খালেদা জিয়ার আইনজীবী জিয়া উদ্দিন জিয়া ও হান্নান ভূইয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর দুদকের তৎকালীন সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ মাহবুবুল আলম তেজগাঁও থানায় খালেদা জিয়াসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। কানাডিয়ান কোম্পানি নাইকোর সঙ্গে অস্বচ্ছ চুক্তির মাধ্যমে দুর্নীতি ও রাষ্ট্রের আর্থিক ক্ষতির অভিযোগে মামলাটি করা হয়।

এরপর ২০১৮ সালের ৫ মে খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে রাজ্যের প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকা আর্থিক ক্ষতির অভিযোগ রয়েছে। ২০২৩ সালের ১৯ মার্চ কেরানীগঞ্জের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে অবস্থিত ঢাকার ৯ নম্বর (অস্থায়ী) বিশেষ জজ আদালতের বিচারক শেখ হাফিজুর রহমান আসামিদের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ গঠন করেন।

মামলার অন্য সাত আসামি হলেন- প্রধানমন্ত্রীর তৎকালীন মুখ্য সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহিদুল ইসলাম, সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সিএম ইউসুফ হোসেন, বাপেক্সের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর মো. মইনুল হক, ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন, ইন্টারন্যাশনাল ট্রাভেল কর্পোরেশন মো. চেয়ারম্যান সেলিম ভূঁইয়া ও নাআইকোর ভাইস প্রেসিডেন্ট ফর সাউথ এশিয়া কাশেম শরীফ।

অপরদিকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী একেএম মোশাররফ হোসেন ও বাপেক্সের সাবেক সচিব ড. শফিউর রহমান মারা যাওয়ায় তারা মামলা থেকে খালাস পান।

About Nasimul Islam

Check Also

আ.লীগ ও তৃণমূল থেকে বিএনপিতে যোগদানের হিড়িক

নারায়ণগঞ্জে আওয়ামী লীগ ও তৃণমূল বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে বিএনপিতে যোগদানের প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে। ফ্যাসিবাদী আওয়ামী …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *