নাইকো দুর্নীতি মামলায় দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ আটজনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেওয়ার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (এফবিআই) একজন কর্মকর্তা ও কানাডার দুই পুলিশ সদস্যের আবেদন মঞ্জুর করেছেন আদালত। রোববার (১৭ সেপ্টেম্বর) কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থাপিত ঢাকার অস্থায়ী বিশেষ জজ আদালত-৯ এর বিচারক শেখ হাফিজুর রহমান এ আবেদন মঞ্জুর করেন।
জানা যায়, কেবিন দুগ্গান, রয়েল কানাডিয়ান মাউন্টেড পুলিশের লয়েড শোয়েপ ও নিউ ইয়র্কের ক্রিমিনাল ডিভিশনের মিসেস ডেব্রা ল্যাপ্রেভোট গ্রিফিথকে সাক্ষ্য দেওয়ার আবেদন করেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। এদিন এই তিন বিদেশি নাগরিক NAICO দুর্নীতি মামলায় সাক্ষ্য দিতে পারবেন কি না, তা নিয়ে শুনানি হয়।
রাষ্ট্রপক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। খালেদা জিয়ার পক্ষে এর বিরোধিতা করেন আমিনুল ইসলাম। তিনি বলেন, অ্যাটর্নি জেনারেল সারা দেশে সব মামলার শুনানিতে অংশ নিতে পারেন। কিন্তু আবেদন করার ক্ষমতা তার নেই। আমরা এর বিরোধিতা করছি।
উভয়পক্ষের শুনানি শেষে তিন বিদেশি সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণের আবেদন মঞ্জুর করেন আদালত।
এ দিকে এ মামলার বাদী দুদকের সহকারী পরিচালক মুহা. মাহবুবুল আলমকে জেরা করার কথা ছিল। কিন্তু আসামিদের আইনজীবীরা প্রস্তুত নন জানিয়ে জেরা পিছিয়ে দেওয়ার অনুরোধ করেন।
আদালত সময় আবেদন মঞ্জুর করে আগামী ১০ অক্টোবর জেরার পরবর্তী তারিখ ধার্য করেন।
খালেদা জিয়ার আইনজীবী হান্নান ভূঁইয়া এ তথ্য জানান।
গত ১২ সেপ্টেম্বর মুহা. মাহবুবুল আলম তার বক্তব্য শেষ করেন। এরপর আসামিপক্ষের আইনজীবীরা তাকে জেরা শুরু করেন।
গত ১৯ মার্চ একই আদালত খালেদা জিয়াসহ ৮ আসামির খালাস নাকচ করে অভিযোগ গঠনের নির্দেশ দেন।
অন্য আসামিরা হলেন তৎকালীন মুখ্য সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, বাপেক্সের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর মঈনুল হক, নাইকোর দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সিএম ইউসুফ হোসাইন, ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন ও বাগেরহাটের সাবেক সংসদ সদস্য এমএএইচ সেলিম । এদের মধ্য প্রথম তিনজন পলাতক রয়েছেন।
উল্লেখ্য, ২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর তেজগাঁও থানায় খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মামলাটি তদন্ত শেষে ২০০৮ সালের ৫ মে খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়।