বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেওয়ার আবেদনের বিষয়ে রোববার মতামত দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক।
আনিসুল হক শনিবার সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। এর আগে গত ২৫ সেপ্টেম্বর খালেদা জিয়ার পরিবারের পক্ষ থেকে এ আবেদন করা হয়।
এদিকে ভয়েস অব আমেরিকাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, বিদেশে চিকিৎসার অনুমতি নিতে হলে খালেদা জিয়াকে আবারও কারাগারে যেতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী ও অ্যাটর্নি জেনারেল বলেছেন, খালেদা জিয়াকে বিদেশে যাওয়ার আবেদন করতে হলে কারাগারে যেতে হবে, এ বিষয়ে আপনি কী বলবেন— সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, এ বিষয়ে করা আবেদন নিয়ে আজ এখন কিছু বলতে চাই না। এটা নিয়ে রোববার মন্ত্রণালয়ে জানানো হবে। কী সিদ্ধান্ত হবে সেটি সেখানেই বলব, আজ নয়।
দণ্ডপ্রাপ্তদের বিষয়ে কোনো আবেদন করা হলে তা নিয়মানুযায়ী স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে করতে হবে। তাই আইন অনুযায়ী স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আইনি মতামতের জন্য বিষয়টি আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে।
এর আগে, খালেদা জিয়ার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার স্থায়ীভাবে মুক্তি ও বিদেশে চিকিৎসা চেয়ে ২৫ সেপ্টেম্বর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেন। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মতামতের জন্য আবেদনটি আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠায়।
একই দিন সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, আইনের বিদ্যমান অবস্থান থেকে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর বিষয়ে সরকারের কিছু করার নেই। ফৌজদারি কার্যবিধির ধারা ৪০১ (১) এর অধীনে শর্তসাপেক্ষে সাজা স্থগিত করে তাকে শর্তসাপেক্ষে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছিল। এটা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মহানুভবতায়। এখন আইনের যদি কোনো পরিবর্তন আনতে হয় তা হলে খালেদা জিয়াকে দেওয়া শর্তযুক্ত মুক্তি আগে বাতিল করতে হবে। বাতিল করে আগের অবস্থায় যাওয়ার পর আবার অন্য বিবেচনা করা যাবে।
এর আগে অ্যাটর্নি জেনারেল আবু মোহাম্মদ (এএম) আমিন উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেছেন, কারাগারে যাওয়ার পর বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিদেশে যাওয়ার আবেদন করা উচিত। বিদেশে উন্নত চিকিৎসা নিতে চাইলে আবার আবেদন করতে হবে। তাহলে আগের আদেশ বাতিল হয়ে যাবে। আদেশ প্রত্যাহার হলে তিনি (খালেদা জিয়া) বাইরে থাকতে পারবেন না।
গত ১২ সেপ্টেম্বর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিত করে মুক্তির মেয়াদ আরও ছয় মাস বাড়ায়।