খালেদা জিয়াকে দেশের বাইরে নিয়ে উন্নত চিকিৎসা দেওয়ার ইস্যুতে সরকারের লিখিত সিদ্ধান্ত পাওয়ার জন্য অপেক্ষায় রয়েছে বিএনপি। বেগম জিয়ার আইনজীবীরা বলছেন, এটি পাওয়ার পর পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা করা হবে। এদিকে অবিলম্বে এ বিষয়টি নিয়ে সিদ্ধান্ত জানানো হবে, এমনটিই জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। বিষয়টি নিয়ে দুদকের আইনজীবীরা বলছেন, দুর্নীতির মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামিদেরকে বিদেশে যাওয়ার সুযোগ দিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে এমন ধরনের কোনো নজির তারা পাননি।
সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে না জানালেও আইনে সুযোগ না থাকায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া বিদেশে চিকিৎসা পাচ্ছেন না। গতকাল (মঙ্গলবার) অর্থাৎ ২১ ডিসেম্বর আইনমন্ত্রীর বক্তব্যে বিষয়টি স্পষ্ট করা হয়। তিনি বলেন, আইন ও নজির না থাকায় সাজাপ্রাপ্ত আসামিদের ক্ষেত্রে মানবিক দিক বিবেচনা করার সুযোগ নেই।
বুধবার (২২ ডিসেম্বর) মন্ত্রী জানান, সরকারের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত খুব শিগগিরই জানিয়ে দেওয়া হবে। দুদক আইনজীবী অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান বলছেন, খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসা ইস্যুটির আইনি দিক তিনিও খতিয়ে দেখেছেন। দণ্ডপ্রাপ্ত আসামির বিদেশে চিকিৎসার নজির তিনিও খুঁজে পাননি।
তিনি বলেন, তারা যদি একটা নজির আমাদের দেখাতে পারতেন, তাহলে আইনমন্ত্রীর পক্ষেও সিদ্ধান্ত নিতে সহজ হতো। আমি ব্যক্তিগতভাবে কোনো নজির পাইনি। এদিকে, খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা অপেক্ষা করছেন সরকারের লিখিত সিদ্ধান্তের। তারা জানান, সিদ্ধান্ত পেলেই নেওয়া হবে পরবর্তী পদক্ষেপ।
অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন বলেন, মন্ত্রী আমাদের বলেছেন, আমি আপনাদের সঙ্গে কোনো ধরনের আইনি বিতর্কে জড়াতে চাই না। বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করার পর সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেওয়া হবে। আমরা এখন সরকারের লিখিত সিদ্ধান্তের জন্য অপেক্ষায করছি। তারপর আমরা ভেবে দেখবো কী করা যায়।
বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়াকে গত ১৩ নভেম্বর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এর আগে ৮ নভেম্বর তিনি হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরে গিয়েছিলেন, কিন্তু ফের তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ১৭ নভেম্বর বেগম জিয়ার লিভার সিরোসিস ধরা পড়ার পর তিনি এখনও হাসাপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। চিকিৎসকেরা তার উন্নত চিকিৎসার জন্য যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও জার্মানি এই তিন দেশের যেকোনো একটিতে নেওয়ার কথা বলেন, এই বিষয় নিয়ে দাবি জানিয়ে আসছে বিএনপি