যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের প্রেস ব্রিফিংয়ে খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার বিষয়টি আবারও উঠে আসে। মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর এ মতামত জানিয়েছে ।
বৃহস্পতিবারের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে সম্প্রতি ভয়েস অফ আমেরিকার এক প্রতিবেদনের উল্লেখ করে বলা হয়, চিকিৎসার জন্য বিদেশ ভ্রমণে সরকারের নিষেধাজ্ঞার কারণে খালেদা জিয়া মৃ/ত্যুর ঝুঁকিতে রয়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্র কি খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে যেতে দিতে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানাবে? জবাবে, মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেছেন যে জনস হপকিন্সের তিনজন চিকিৎসক বর্তমানে তার শারীরিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করছেন।
এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতরের বার্ষিক প্রতিবেদনেও খালেদা জিয়ার বিচারের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলারকে এসব বিষয়ে মন্তব্য করতে বলা হয়েছিল।
জবাবে মিলার বলেন, আমরা সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করছি। আমরা সরকারকে তার আইনি প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছ ও যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে উৎসাহিত করি। কিন্তু বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিচারিক বিষয়ে আমাদের বলার কিছু নেই।
প্রসঙ্গত, খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য বুধবার জন হপকিন্সের তিন চিকিৎসক ঢাকায় এসেছেন। তাদের মধ্যে অধ্যাপক ক্রিস্টোস সাভাস জর্জিয়াডেস ও অধ্যাপক জেমস পিটার হ্যামিল্টন সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান।
এরপর সাড়ে ১০টায় তারা এভারকেয়ার হাসপাতালে গিয়ে খালেদা জিয়ার চিকিৎসার কাজ শুরু করেন। রাত ২টায় যুক্তরাষ্ট্র থেকে আসেন অধ্যাপক হামিদ রব।
মার্কিন চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হয়েছে। তারা পানি ও রক্তপাত বন্ধ করার জন্য তার শরীরের টিপস প্রতিস্থাপন করে। বর্তমানে তিনি আইসিইউতে নিবিড় পরিচর্যায় রয়েছেন।