বিএনপি হলো বাংলাদেশের অন্যতম একটি রাজনৈতিক দল এবং এই দলের চেয়ারপারসন ছিলেন বেগম খালেদা জিয়া। কিন্তু অসুস্থ হওয়ার কারণে এখন দলের দায়িত্বভার অর্পণ হয়েছে তারই বড় ছেলে তারেক রহমানের উপর। সম্প্রতি তিনি খুবই অসুস্থ হয়ে পরেছেন। তার হার্টে পড়ানো হয়েছে রিং। খালেদা জিয়ার পরিবারের সদস্যরা সবার কাছে দোয়া চেয়েছেন।
জাহিদ হোসেন বলেন, হার্টে আরও দুটি ব্লকেজসহ নানা জটিলতায় বিএনপি চেয়ারপারসনকে ৭২ ঘণ্টা নিবিড় পর্যবেক্ষণে রেখেছে এভারকেয়ার হাসপাতালের মেডিকেল বোর্ড। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সুস্থতার জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছে তার পরিবার। রোববার বিএনপি চেয়ারপারসনের ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও দলের ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেন এ তথ্য জানান। জাহিদ হোসেন বলেন, হার্টে আরও দুটি ব্লকেজসহ নানা জটিলতায় বিএনপি চেয়ারপারসনকে ৭২ ঘণ্টা নিবিড় পর্যবেক্ষণে রেখেছে এভারকেয়ার হাসপাতালের মেডিকেল বোর্ড।
তিনি বলেন, শনিবার ম্যাডামের হার্টে এনজিওগ্রাম করার পর তিনটি ব্লক পাওয়া গেছে। একটি ব্লক মেইন গ্রেট ভেসেলে ছিল, যা বাম দিকের ব্লকের 95 শতাংশের বেশি ছিল। যে কারণে তার হার্ট অ্যাটাক হয়েছিল। এনজিওগ্রামের পরপরই স্টেন্টিং করা হয়। তিনি এখন সিসিইউতে হৃদরোগ বিশেষজ্ঞদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে রয়েছেন। জাহিদ হোসেন আরও বলেন, “চিকিৎসকদের মতে, এখন পর্যন্ত তার (খালেদা জিয়া) শারীরিক অবস্থা ভালো। ৭২ ঘণ্টা পর কোনো মন্তব্য করা ঠিক হবে না।”
অন্য দুটি ব্লকের বিষয়ে তিনি বলেন, ম্যাডামের অবস্থা পর্যবেক্ষণ করে তারপর সরিয়ে দেওয়া হবে। কারণ তার দীর্ঘস্থায়ী কিডনি রোগ এবং দীর্ঘস্থায়ী লিভার রোগ রয়েছে। সে যে ওষুধ সেবন করে তাতে কিডনির ক্ষতির পরিমাণ বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। সে জন্য আরও দুটি ব্লক সরানোর কাজ বাকি রয়েছে। বিভিন্ন দিক বিবেচনা করে, মেডিকেল বোর্ড সমালোচনামূলকভাবে স্টান্ট করেছে যা তাকে সবচেয়ে বেশি বিরক্ত করছে। ‘
তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার চিকিৎসার ওপর চিকিৎসকরা কড়া নজর রাখছেন। “তিনি ঠিক আছেন। ডাক্তাররা ম্যাডামের পরিবারসহ কাউকে রোগী দেখতে দিচ্ছেন না। আমরা নিজেরা সেখানে খুব একটা যাতায়াত করছি না। বাইরে থেকে যতটা সম্ভব সহযোগিতা করছি। শুক্রবার রাতে গুলশানের নিজ বাসায় ফিরোজায় হঠাৎ বুকে ব্যথা অনুভব করলে খালেদা জিয়াকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়। গত বছরের ১৩ নভেম্বর থেকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন খালেদা জিয়া। এরপর তার শরীরে একাধিক অস্ত্রোপচার করা হয়। গত ২৬ নভেম্বর চিকিৎসকরা জানান, খালেদা জিয়ার লিভার সিরোসিস হয়েছে।
২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত। ওই দিনই তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। পরে সাজা বাড়িয়ে ১০ বছর করেন হাইকোর্ট। পরে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। দেশে করোনার প্রাদুর্ভাবের পর ২০২০ সালের ২৫ মার্চ প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীকে ছয় মাসের জন্য সাময়িকভাবে মুক্তি দেওয়া হয়েছিল। এরপর কয়েক দফায় খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, খালেদা জিয়া বেশ কয়েকবার দেশের প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন। সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর শারীরিক আবস্থা গত কয়েক মাস ধরে তেমন একটা ভালো যাচ্ছে। তবে তার সব রকম চিকিৎসা করা হচ্ছে। তবে বর্তমানে তার যে অবস্থা তাতে পরিস্থিতি কোনদিকে যায় সেইটা সঠিকভাবেড বলা যায় না।