বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া দীর্ঘ দিন ধরে বিভিন্ন শারীরিক জটিলতায় ভুগছেন। বিশ্বব্যপি ছড়িয়ে পড়া রোগে আক্রান্ত হয়ে তিনি এর আগেও অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে অনেক দিন। পরে সুস্থ হলে তিনি তার বাসায় ফিরে গিয়েছিলেন। এবার আবারও তিনি অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হলে তার দ্রুত এনজিওগ্রাম করা হয় এবং তার হার্টে স্টেন্ট বসানো হয়। বিএনপি নেত্রী চিগিৎসা সম্পর্কে যা বললেন তার মেডিকেল বোর্ড।
চিকিৎসার জন্য বিদেশে নিয়ে গেলে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া সুস্থ হয়ে উঠতে পারেন বলে জানিয়েছেন মেডিকেল বোর্ডের চিকিৎসকরা।
শুক্রবার (২৪ জুন) বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে অধ্যাপক ডা. শাহাবুদ্দিন তালুকদার ও ডা. এফ এম সিদ্দিকী এ তথ্য জানান।
তারা বলেন, খালেদা জিয়াকে রিং বসানোর পর নতুন সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। সাইড ইফেক্টের কারণে চিকিৎসা দিতে জটিলতা সৃষ্টি হচ্ছে। এদিকে বিশ্বব্যপি ছড়িয়ে পড়া রোগের সংক্রমণ আবারও শুরু হয়েছে। ঝুঁকি থাকলেও খালেদা জিয়াকে বাসায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে সংক্রমণের এড়াতে। বাড়িতে তাকে সার্বক্ষণিক নজরদারিতে রাখা হবে। জটিলতা দেখা দিলে তাকে হাসপাতালে আনা হবে।
তারা আরও বলেন, খালেদা জিয়ার কিডনির জটিলতা কিছুটা হলেও সমাধান করা গেলেও অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণ এখন বড় চ্যালেঞ্জ। হাসপাতালে রেখে তার চিকিৎসা সম্ভব নয়। বিদেশে চিকিৎসা করালে হয়তো তিনি সুস্থ হয়ে উঠবেন।
উল্লেখ্য, বুকে ব্যথা নিয়ে গত ১০ জুন বসুন্ধরার এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হন ৭৬ বছর বয়সী খালেদা জিয়া। এরপর দ্রুত এনজিওগ্রাম করা হয় এবং তার হার্টে স্টেন্ট বসানো হয়। হাসপাতালের বিশেষ চিকিৎসক অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে গঠিত মেডিকেল বোর্ডের অধীনে চিকিৎসাধীন আছেন। একটি ব্লক অপসারণ করা হলেও খালেদা জিয়ার হার্টে আরও দুটি ব্লক পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
প্রসঙ্গত, বেগম খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসা হলে তিনি সুস্থ হয়ে উঠবেন বলে মন্তব্য করেন মেডিকেল বোর্ডের চিকিৎসকরা। মেডিকেল বোর্ডের চিকিৎসকরা আরও বলেন বর্তমানে হাসপাতালে রেখে তাকে চিকিৎসা করা সম্ভব নয়।