বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে বিদেশে নেওয়ার আবেদন পরিবার ও সরকারের সিদ্ধান্ত বলে মন্তব্য করেছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. খুরশীদ আলম খান। রোববার (২৪ সেপ্টেম্বর) সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসা বিষয়টি সরকার ও খালেদা জিয়ার আইনজীবীদের বিষয়। তবে পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিত করা হয়েছে। তাই পরিবার একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। তাই আমি মনে করি, খালেদা জিয়ার পরিবার, আইনজীবী ও সরকারের মধ্যে আলোচনা হওয়া উচিত।
এর আগে রোববার সকালে বিএনপির আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর জন্য ইতোমধ্যে আবেদন করা হয়েছে; নতুন করে আবেদন চাওয়া অমানবিক।
তিনি বলেন, চিকিৎসক ও মেডিকেল বোর্ড বলেছেন, খালেদা জিয়া যে সমস্যায় ভুগছেন তার চিকিৎসা দেশে সম্ভব নয়। তাই আবেদনের ওপর নির্ভর করছে না খালেদা জিয়ার চিকিৎসা দেশের বাইরে করানোর ব্যাপারে। এটাই জনগণের সময়ের দাবি। তার জীবন বাঁচাতে সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করা।
কায়সার কামাল বলেন, ১৯৯০ সালের ১৪ ডিসেম্বর জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে একটি ঘোষণা রয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, কোনো ব্যক্তির যদি সাজা হয় কিন্তু তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যেতে হয় তাহলে সে দেশের সরকারের দায়িত্ব। তাকে বিদেশে পাঠান। সেই ঘোষণার পরিপ্রেক্ষিতে রাশিয়ার বিরোধীদলীয় নেতা অ্যালেক্স নাভালনিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য জার্মানিতে পাঠানো হয়।
তিনি আরও বলেন, খালেদা জিয়া আন্তর্জাতিক আইন ছাড়াও বাংলাদেশের সংবিধানের ১৫ ও ৩২ ধারা অনুযায়ী চিকিৎসার জন্য বিদেশে যেতে পারেন।
এর আগে শুক্রবার (২৩ সেপ্টেম্বর) আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, খালেদা জিয়াকে চিকিৎসা করতে বিদেশে পাঠানোর জন্য এখন পর্যন্ত কোনো আবেদন আসেনি। তিনি আরও বলেন, খালেদা জিয়া আবেদন করলে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।
তিনি আরও বলেন, কারাগারে দণ্ডিত হয়েও খালেদা জিয়া সাজা স্থগিত রেখে এভার কেয়ার হাসপাতালে ভালো চিকিৎসা নিচ্ছেন, এটা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদারতা ও উদারতার কারণে। সেক্ষেত্রে তারা (বিএনপি) আবেদন করার পর দেখা যাবে।