আইন পরিবর্তন করে হলেও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর সুযোগ করে দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল মোতালেব হাওলাদার।
শনিবার রাতে মোতালেব তার নিজের ফেসবুক প্রোফাইলে এ দাবি করেন।
স্ট্যাটাসে তিনি লিখেছেন- ‘রাজনৈতিক কারণে আইন পরিবর্তন করে হলেও বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশে চিকিৎসা দিতে হবে’।
তার স্ট্যাটাস মুহূর্তেই ভাইরাল হয়ে যায়। বিএনপির অসংখ্য সিনিয়র নেতাকর্মী ও সমর্থক কমেন্ট বক্সে বিষয়টি নিয়ে তাকে ধন্যবাদ জানান এবং প্রশংসা করেন।
অন্যদিকে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা তাকে নিন্দা জানিয়ে সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে বহিষ্কারের দাবি তোলেন।
উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি হারুন অর রশিদ এ বক্তব্যকে সংগঠনবিরোধী দাবি করে বলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিগত ইউপি নির্বাচনে নৌকার প্রার্থীর বিরুদ্ধে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে কাজ করেছেন। এছাড়াও তিনি বিভিন্ন সময়ে সংগঠন বিরোধী মন্তব্য করে সমালোচিত হয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, সাধারণ সম্পাদক একজন আত্মত্যাগী নেতা। তা ঠিক আছে। তবে সম্প্রতিককালে তিনি বিএনপি নেতাকর্মীদের নিয়ে বিচরণ শুরু করেছেন। যার কারণে বিএনপি নেতাদের আদর্শে আদর্শিত হয়ে বিএনপি নেত্রীর পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন।
উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ ইব্রাহিম ফারুক বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারকে হত্যা এবং ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার চেষ্টার সঙ্গে বিএনপি ও জিয়া পরিবার সরাসরি জড়িত। অত্যন্ত দুঃখজনক যে তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে বিএনপি নেতার জন্য মায়াকান্না এবং আইন পরিবর্তন করে বিদেশে চিকিৎসার দাবি জানিয়েছেন; তার বক্তব্যের মধ্যে রয়েছে সংগঠন বিরোধী। তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিতে হবে।
তবে এ প্রসঙ্গে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল মোতালেব হাওলাদার সাংবাদিকদের বলেন, শেখ হাসিনা মানবতার মা, তিনি খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে ঘরে থাকার সুযোগ দিয়েছেন। তিনি (শেখ হাসিনা) যে মানবতার মা, খালেদা জিয়াকে বিদেশে পাঠিয়ে তা আরও একবার প্রমাণিত হবে। আমি রাজনৈতিক কারণে লিখেছি, এখানে ভুল কিছু দেখছি না।
এ বিষয়ে পটুয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ভিপি আবদুল মান্নান সাংবাদিকদের বলেন, এটি আবদুল মোতালেব হাওলাদারের ব্যক্তিগত মন্তব্য। এর দায় আওয়ামী লীগ নেবে না।