বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেওয়ার অনুমতি চেয়ে আবারও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেছে তার পরিবার। একই সঙ্গে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর সাজা স্থগিত করে স্থায়ী মুক্তির আবেদন করা হয়েছে।
গত ৬ মার্চ খালেদা জিয়ার একান্ত সচিব এবিএম সাত্তার পরিবারের পক্ষ থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদনপত্রটি পৌঁছে দেন। এবিএম সাত্তার রোববার সন্ধ্যায় দেশের একটি জনপ্রিয় সংবাদমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, আবেদনে ম্যাডামের স্থায়ী মুক্তি ও বিদেশে চিকিৎসার অনুমতি চাওয়া হয়। ম্যাডামের ছোট ভাই (শামীম ইস্কাদার) অসুস্থ থাকায় চিঠিটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পৌঁছে দিয়েছি। আবেদনে শামীম ইস্কাদার বলেন, বেগম জিয়ার জীবন খুবই বিপজ্জনক। খালেদা জিয়ার জীবন বাঁচাতে দেশের বাইরে চিকিৎসা দরকার।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে আবেদনপত্র আইন মন্ত্রণালয়ে পৌঁছেছে বলে জানা গেছে। সোমবার এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হতে পারে। তবে তাদের চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর কোনো আইনি বিকল্প নেই বলে সূত্র জানিয়েছে। গত বছরের ১২ সেপ্টেম্বর খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ ছয় মাস বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। সেই মেয়াদ ২৪ মার্চ শেষ হবে।
এ বিষয়ে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক গণমাধ্যমকে বলেন, আবেদনের বিষয়ে আইনি মতামত নিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে আইন মন্ত্রণালয়ে এসেছে। সোমবার আবেদনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
প্রসঙ্গত, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়াকে সাজা দেন আদালত। এরপর থেকে প্রায় দুই বছর কারাগারে ছিলেন তিনি। পরবর্তীতে মহামারী করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব বাড়লে ২০২০ সালের ২৫ মার্চ সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিত করা হয় এবং দুই শর্তে সরকারের এক নির্বাহী আদেশে তাকে মুক্তি দেওয়া হয়। প্রথমটি হলো তাকে বাড়ি থেকে চিকিৎসা নিতে হবে। দ্বিতীয় শর্ত হলো তিনি বিদেশে যেতে পারবেন না। এরপর করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে তার পরিবারের অনুরোধে তাকে ৬ মাসের জন্য মুক্তি দেওয়া হয়। এরপর থেকে পরিবারের আবেদনে প্রতি ছয় মাস অন্তর তার মুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হয়।