ঘোলা জলে মাছ শিকারের চেষ্টায় মত্ত হয়েছে বিএনপি-জামায়াতের মত অসংবিধানিক পথে পরিচালিত চক্র। এই ধরনের চক্রকে যদি রাজনীতি থেকে বিতাড়িড় করা সম্ভব হয় তাহলে এ দেশের উন্নয়ন ঘটবে এবং কোনো মানুষকে অগ্নিসন্ত্রাসীদের হাতে আর প্রাণ দিতে হবে না। তারা দেশে একটি অস্থির পরিবেশ সৃষ্টির পায়তারা করছে। এমন ধরনের মন্তব্য করেছেন ১৪ দলের নেতারা।
জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে মঙ্গলবার (২৩ আগস্ট) জাতীয় প্রেসক্লাবে আলোচনা সভার আয়োজন করে কমিউনিস্ট পার্টি। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন ১৪ দলের মুখপাত্র আমির হোসেন আমু।
বৈঠকে ১৪ দলের নেতারা বলেন, ১৫ আগস্টের খু”নিদের বাহক বিএনপি। এদেশের মাটিতে যাতে আর কোনো হ”/ত্যাকাণ্ড না ঘটে তা নিশ্চিত করতে হবে।
জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু বলেন, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির সমস্যাকে পুঁজি করে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের চেষ্টা করছে বিএনপি-জামায়াত চক্র। এই বিপদ বাংলাদেশের জন্য হুমকি।
আওয়ামী লীগের সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেন, তাদের চিহ্নিত করে রাজনীতি থেকে সরিয়ে দিতে পারলে বাংলাদেশে হ/”ত্যা, গুম, খু’/’ন-নি”র্যা/তনের আগুন সংযোগ থেকে বাংলার মানুষকে বাঁচাতে পারব বলে আমার বিশ্বাস।
১৪ দলীয় জোটের মুখপাত্র আমির হোসেন আমু সাফ জানিয়ে দেন, বিএনপি যেখানেই ধরনা দেয় না কেন, সংবিধানের বাইরে কিছু হবে না। তিনি বলেন, দেশের উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রক্ষায় শেখ হাসিনাকে পুনর্নির্বাচিত করার কোনো বিকল্প নেই।
আমু বলেন, গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা রাখতে হলে সাংবিধানিকভাবে যে ধারা আছে সেই ধারার মতোই চলতে হবে এটার কোনো বিকল্প নেই। কোনো অসাংবিধানিক বিধান কখনোই জনগণের উপকার করতে পারে না। এটা বিগত দিনে বারবার প্রমাণিত হয়েছে। আমরা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের নামে অনেক খেলা দেখেছি এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকার খালেদা জিয়া বিশ্বাস করে না, বিএনপিও করে না, তাই সেভাবে নির্বাচন হওয়া উচিৎ নয়।
বাজার সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রন করার চেষ্টা করে যারা মানুষকে একটি কষ্টকর পরিস্থিতিতে ফেলার চেষ্টা করছে, তাদের বিরুদ্ধে সরকারকে পদক্ষেপ নিয়ে আরও কঠোর হবার জন্য আহ্বান জানান আলোচনা সভায় অংশ নেওয়া ১৪ দলের নেতারা। দেশের উন্নয়নের জন্য অবশ্যই হাসিনার সরকারের দরকার বলেও জানান তারা।