বাংলাদেশে নিযুক্ত তুরস্কের রাষ্ট্রদূত মুস্তাফা ওসমান তুরান।সম্প্রতি তিনি কথা বলেছেন দেশের বর্তমান রাজনৈতিক অবস্থা নিয়ে। একটি অনুষ্ঠানে তাকে প্রশ্ন করা হয় ‘আপনার দেশে কেউ নির্বাচনে না এলে আপনি কি বাধ্য করতে পারেন?’। আর এই প্রশ্ন তাকে করেন আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ও আইনজীবী নূরজাহান বেগম মুক্তা।
এর আগে বিএনপির একজন প্রতিনিধি তুরস্কের রাষ্ট্রদূতের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সাজা ছাড়াও এ বিষয়ে তার দলের অবস্থান তুলে ধরেন। পরে তুরস্কের রাষ্ট্রদূত জানান, নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির প্রতিনিধিরা তাদের অবস্থান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আমাদেরকে আপনাদের অবস্থান জানানোর পরিবর্তে আপনারা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করুন।
এর আগে মানবতাবিরোধী অপরাধে জামায়াত নেতাদের ‘ফাঁ’সি’তে’ তুরস্কের আপত্তি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। তুর্কি রাষ্ট্রদূত মানবতাবিরোধী অপরাধীদের রাজনৈতিক নেতা বলেছেন। মানবতাবিরোধী অপরাধীদের অনেক অনুসারী ও ভক্ত রয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন। সিজিএস চেয়ারম্যান মঞ্জুর আহমেদ চৌধুরী এ বিষয়ে রাষ্ট্রদূতের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, আদালত তাদের বিচার করেছে। আপনি তাদের রাজনীতিবিদ হিসেবে উল্লেখ করছেন। মানবতাবিরোধী অপরাধী হিসেবে তাদের বিচার করা হয়েছে। রাষ্ট্রদূতকে উদ্দেশ্য করে আরও বলা হয়, “অনেক দেশে ‘ফাঁ’সি’র’ ঘটনা ঘটছে; কিন্তু তুরস্ক সেখানে কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি। এসব মন্তব্যের জবাবে তুরস্কের রাষ্ট্রদূত বলেন, একটি দেশ তার নাগরিকদের ‘ফাঁ’সি’ ‘দিতে পারে; কিন্তু তুরস্ক এর বিপক্ষে। তিনি বলেন, আমি মানবাধিকার নিয়ে কাজ করেছি। অন্যকে হ”ত্যা’কা’রী’কে’ ফাঁ’সি’তে ‘ঝুলিয়ে আমি কোনো লাভ দেখি না। ‘
এ দিকে তিনি জামাতের বিষয়ে হস্তক্ষেপ করা নিয়ে তুরস্কের অবস্থান পরিষ্কার করে বলেন, মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার নিয়ে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপের কোনো অভিপ্রায় তাদের ছিল না।